মহম্মদ আবদুল খালিকঃ বিহারঃ এবার থেকে বিহারে সরকারের বিরুদ্ধাচরণ করলেই ফল ভুগতে হবে। যারা অপরাধমূলক কাজকর্মের সঙ্গে জড়িত এমনকি যারা সরকারের বিরদ্ধে প্রতিবাদের পথে চলবে তাদের পাসপোর্ট পাওয়া বা সরকারী চাকরী পাওয়া বেশ দুষ্কর হয়ে উঠবে।
সম্প্রতি বিহার পুলিশের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে যে, যে বা যারা অপরাধমূলক কাজকর্মের সঙ্গে জড়িত কিংবা সড়ক অবরোধ, হিংসাত্মক প্রতিবাদ এবং বিক্ষোভ দেখানোর মতো কাজ করবে তাদের জন্য পাসপোর্ট পাওয়া বা সরকারী চাকরী পাওয়া বেশ মুশকিল হবে। আর এইসব কাজের সঙ্গে যারা যুক্ত যদি তারা তাদের পথ পরিবর্তন না করে তবে সরকারের তরফে তাদের কোনোরকম ঋণও দেওয়া হবে না।
নিয়ম অনুযায়ী পাসপোর্ট, লাইসেন্স, বোর্ড-কমিশন, ক্যারেক্টর সার্টিফিকেট, সরকারী কাজের চুক্তি, গ্যাস এজেন্সি ও পেট্রোল পাম্পের লাইসেন্সের জন্য পুলিশী ভেরিফিকেশনের প্রয়োজন হয়। কিন্তু সরকারী বিরোধী কোনো কাজ করলে এবার থেকে তারা সেই সুযোগ-সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হবেন। আর যদি তাদের অপরাধমূলক কাজের জন্য পুলিশের চার্জশিটে নাম থাকে তাহলে তার ক্যারেক্টর ভেরিফিকেশন সার্টিফিকটের উপর প্রভাব পড়বে।
ইতিমধ্যেই সরকারের এই বিবৃতি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব তাঁর অফিশিয়াল টুইটারের স্ক্রিনশট শেয়ার করে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের উদ্দেশ্যে বলেছেন, “নীতীশ মুসোলিনি এবং হিটলারকে যেন চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন। যদি কোনো বিষয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করে কেউ বিদ্রোহ করে তবে সরকারী সুবিধা থেকে বঞ্চিত করবে। অর্থাত্ এরা সরকারী চাকরীও দেবে না আবার চাকরী না দেওয়ার জন্য বিরোধও করতে দেবে না।