মিঠু রায়ঃ অতিরিক্ত ওজন একটা দুশ্চিন্তার কারণ। এদিকে যখনই ওজন বাড়তে শুরু করে তখনই ডায়েটের দিকে নজর আসে। কারণ শরীর নির্দিষ্ট পরিমাণ পুষ্টি গ্রহণ না করলে ওজন বেড়ে যায়। সুতরাং খাদ্য আমাদের স্বাস্থ্য রক্ষার ক্ষেত্রে অতি প্রয়োজনীয় ভূমিকা পালন করে।
তাই ডায়েটের পাশাপাশি ওয়ার্ক আউটেরও খুব প্রয়োজন। আর হঠাৎ করে ওজন বাড়তে থাকার মত সমস্যায় সবচেয়ে বেশী মেয়েরা ভুক্তভোগী। ওজন বৃদ্ধি পেলে শরীরের জটিল সমস্যা তৈরী হয়। অর্থাৎ শরীরের অভ্যন্তরে কোনো সমস্যা হলে বা হরমোনগত কারণেও ওজন বেড়ে যাওয়ার মতো সমস্যা হয়।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereবিভিন্ন কারণে ওজন বেড়ে যেতে পারে। যেমন-
অনিদ্রা- ঘুম আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই ঘুম ঠিকমতো না হলে খিদে বেড়ে যায়। ডিপ্রেশন ও অ্যাংসাইটির মতো বিভিন্ন সমস্যা আসে। আবার পেট ভরে গেলেও মস্তিষ্ক সঠিক সংকেত না পাওয়ায় এই অতিরিক্ত পরিমাণ খাওয়া-দাওয়াতেই ওজন বেড়ে যায়। কারণ খিদে বেশী পেলে অস্বাস্থ্যকর সব খাবারই বেশী পরিমাণে খাওয়া হয়।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
মেনোপজ- মেনোপজ হলে শরীরে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কমে যায়। এর প্রভাবে মেনোপজের পরবর্তী সময়ে মেয়েদের শরীরের ইস্ট্রোজেন হরমোনের কারণে অধিকাংশ মহিলারই ওজন বেড়ে যায়। তাতে এই ফ্যাট সহজে গলানো খুব সমস্যার হয়ে ওঠে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereকিডনির সমস্যা- নেফ্রোটিক সিনড্রোম থাকলে কিডনির ক্ষতি হতে পারে। কিডনি তখন শরীর থেকে দূষিত পদার্থ পুরোপুরি বের করতে পারে না। এর ফলে টক্সিন জনিত সমস্যার কারণেই ওজন বেড়ে যায়। আর শরীর ফুলে ওঠে।
থাইরয়েডের সমস্যা- বর্তমানে থাইরয়েডের সমস্যা অনেকটাই বেড়েছে। প্রচুর মেয়ে এই থাইরয়েডের সমস্যায় ভুগছেন। হাইপোথাইরয়েডিজম হলে শরীরে বিপাক ক্রিয়া ধীরগতিতে হওয়ায় ওজন বেড়ে যায়। যার ফলে থাইরয়েড বাড়লে সেখান থেকে ওজন বেড়ে যাওয়ার মত সমস্যার সৃষ্টি হয়।
পিসিওএসের সমস্যা- ৮০ শতাংশের বেশী মহিলা পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোমে আক্রান্ত। পিসিওএসের সমস্যা থাকলে ওজন বাড়তেই থাকে। এই সমস্যার পেছনেও হরমোন থাকে। হরমোনের অসামঞ্জস্যতাজনিত কারণেই স্ট্রেস বাড়ে। আর স্ট্রেস বাড়লেই ওজন বাড়ে।
ঠিক এই সমস্ত কারণগুলির জন্যই ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।