রায়া দাসঃ কলকাতাঃ হাইকোর্টের নির্দেশ, রাজ্য সরকারের গাইডলাইন ও পুলিশের কড়া নজরদারি সব কিছুকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চতুর্থীর সন্ধ্যা থেকে শহরের রাজপথে মানুষের ঢল নেমেছে। ষষ্ঠীর বিকেলবেলা শহরের পথে জনজোয়ার দেখে পুলিশ কর্তারাও রীতিমতো চমকে উঠেছেন।
করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের চিন্তাকে উপেক্ষা করে কাতারে কাতারে মানুষ ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়েছেন। এমনকি মা-বাবারা ছোটো বাচ্চাদের সাথে নিয়েও বেরিয়ে পড়েছেন। অধিকাংশের মুখে মাস্ক নেই। মাস্ক থাকলেও তা থুতনিতে ঝুলছে। দূরত্ব বিধি বজায়েরও কোনো বালাই নেই। নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করেই চলছে ঠাকুর দেখার পালা।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
উত্তর কলকাতা থেকে দক্ষিণ কলকাতা বেশীরভাগ পুজো মণ্ডপের বাইরেই ঠাসা ভিড়। পুলিশকে শ্রীভূমিতে ভিড় নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। যেমন দর্শনার্থীরদের নিয়ম ভাঙতে দেখা যাচ্ছে তেমন বেশীরভাগ পুজো কমিটিও নিয়ম বিধির তোয়াক্কা করছেন না। শিশুদের নিয়ে ক্রমাগত চিন্তা বেড়েই যাচ্ছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনো শিশুদের ভ্যাক্সিনেশন হয়নি। অনেক শিশুর কোমর্বিডিটি রয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যজুড়ে ভাইরাল নিউমোনিয়া-রেসপিরেটারি ভাইরাসের উপদ্রবও বেড়েই চলেছে। এর মধ্যেই জোরকদমে ঠাকুর দেখার পর্ব চলেছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল আগেই সংক্রমণ বৃদ্ধির ন’টি কারণ চিহ্নিত করেছিলেন, যেগুলির মধ্যে গোষ্ঠী সংক্রমণ, কোভিড বিধি লঙ্ঘন, উত্সব-অনুষ্ঠানে ভিড়, ডেল্টা স্ট্রেনের প্রকোপ, বয়স্কদের সংক্রমণের হার এবং অসংক্রামক রোগ তথা কোমর্বিডিটির কারণে সংক্রমণ বৃদ্ধি রয়েছে।
নিয়ম-শৃঙ্খল উপেক্ষা করে পুজোতে ঠাকুর দেখার কারণে আবারও করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। অর্থাৎ বিশেষজ্ঞরা সব মিলিয়ে সিঁদুরে মেঘই দেখছেন।