প্রবল বৃষ্টির জেরে ৪৮ ঘণ্টায় মৃত্যু ১২৯ জনের

Share

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মহারাষ্ট্রঃ প্রবল বৃষ্টির জেরে বন্যা ও ভূমি ধসে গোটা মহারাষ্ট্র বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত দু’দিনের বৃষ্টির জেরে ১২৯ জনের মৃ্ত্যু হয়েছে। আবার বন্যার জলের তোড়ে ভেসে গিয়েও অনেকের মৃত্যু হয়েছে। চূড়ান্ত তত্‍পরতার সঙ্গে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরা উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। হেলিকপ্টারের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হচ্ছে। মৌসম ভবন রাজ্যের ছয়টি এলাকায় রেড অ্যালার্ট জারি করেছে।

জানা যাচ্ছে, গতকাল পুনের ৮৪ হাজার ৪৫২ জন বাসিন্দাকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কোলাপুর থেকেই ৪০ হাজারের বেশী মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জেলার ৫৪ টি গ্রাম বন্যার কবলে পড়ে সম্পূর্ণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৮২১ টি গ্রাম আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনো রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাত চলছে।


গত বৃহস্পতিবারেই মহারাষ্ট্রের রায়গড়ে মহাদ তহশিলে গ্রামে ভূমিধসে মৃত্যু হয়েছে ৩৮ জনের। বায়ুসেনার এমআই-১৭ভি৫ ও এমআই-১৭ হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়েছে। ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনীর তরফেও সাতটি টিম কাজ করছে। আজ ভারতীয় সেনা এবং নৌবাহিনীর মোট ছয়টি দল উদ্ধারকাজে যোগ দেবে।


রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানান, “গত ৪৮ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২৯ জন। রায়গড় ও সাতারা জেলাতেই মৃতের সংখ্যা সবথেকে বেশী। শুধুমাত্র সাতারায় মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের। গন্ডিয়া এবং চন্দ্রপুরের মতো এলাকাগুলোতেও পরিস্থিতি মারাত্মক আকার নিয়েছে। আম্বেঘর ও মিরগাঁও গ্রামে ধস নেমেছে”। রত্নগিরিতে ১০ জন আটকে পড়েছে। এছাড়া থানে, কোলাপুর, নাগপুর, পালঘর, রায়গড় এবং রত্নাগিরিতে বন্যার পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে।


তাছাড়া ভোর ৩ টে নাগাদ একটি বাস বন্যার জলে ভেসে গিয়েছে। বাসের যাত্রীদের কোনো ভাবে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বন্যা বিধ্বস্ত সেতুর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে বাস চালানোর জেরে বাসের চালককে আটক করা হয়েছে।

মহারাষ্ট্রে ধসে মৃত্যুর ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শোক প্রকাশ করে জানিয়েছেন, “মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার হবে”।

Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
June 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30