মিনাক্ষী দাসঃ আম বাঙালী মাছ-মাংস ভালোবাসে না তা একেবারেই নজির বিহীন। আর ‘মাছে ভাতে বাঙালী’ এই প্রবাদ বাক্য বহুদিন থেকে বহুল প্রচলিত। আর তেলাপিয়া মাছ ও ব্রয়লার মুরগি অনেকেই খেয়ে থাকে। কিন্তু অতি সম্প্রতি গবেষণার মাধ্যমে বিশেষজ্ঞরা জানান যে এই উভয় খাদ্যই স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (FDA) এর একটি রিপোর্টে ৮০০ এর অধিক নমুনা পরীক্ষা করে জানানো হয়েছে, তেলাপিয়া মাছে তেলাপিয়া লেক নামক একধরণের ভাইরাস আছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereসাধারণত এই মাছ অল্প জায়গার মধ্যে বেশী পরিমাণে চাষ করা হয়। হাঁস, শুকর বা মুরগির দেহাবশেষ খেয়ে এই মাছগুলি দ্রুত বেড়ে ওঠার সাথে সাথে বিষাক্ত ওঠে। তেলাপিয়া মাছ চাষের সময় অত্যাধিক পরিমাণে কীটনাশক, অ্যান্টিবায়োটিক সহ রাসায়নিকের ব্যবহার করা হয়। রাসায়নিকের মধ্যে ডাইঅক্সিন এবং ডিবিউটিলিন নামের এক ধরনের রাসায়নিকও ব্যবহৃত হয়। এরফলে দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে ভাইরাস ও ব্যক্টেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয়।
মৎস্য গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীদের পক্ষ থেকে জানা যায়, এই ডিবিউটিলিন মানব শরীরে প্রবেশ করলে অ্যালার্জি স্থুলতা, শ্বাসকষ্ট ও নানা রকমের বিপাকীয় রোগ বাসা বাঁধতে পারে। এমনকি এই মাছ খেলে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereআর এই তেলাপিয়া মাছ রোগাক্রান্ত হয়ে পড়লে তা চেনার একমাত্র উপায় হলো এই ভাইরাস আক্রান্ত মাছের গায়ে ফোসকা দেখা যায়। তখন এরা খাবার কম পরিমাণে খায়। এমনকি এই রোগাক্রান্ত মাছ চীন, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereএছাড়া ব্রয়লার মুরগিকে নানা রকম অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। এই মুরগির মাংসে পিউরিন আছে যা কিডনির সমস্যা বাড়িয়ে তোলে।
ব্রয়লার মুরগির মাংস খেলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা অতিরিক্ত পরিমাণে বেড়ে যায়। যার ফলে হাড়ের ক্ষয় এবং ক্যান্সার হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকে।
তাই নিজের স্বাস্থ্যের সুরক্ষার্থে ব্রয়লার মুরগি ও তেলাপিয়া মাছ খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দেওয়া একান্ত প্রয়োজনীয়।