গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে উত্তপ্ত হরিশ্চন্দ্রপুর
দীপঙ্কর গোস্বামীঃ মালদাঃ নির্বাচনের দিন ঘোষনার আগেই উত্তপ্ত মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর। শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল নির্বাচন সংস্পর্শেও পিছু ছাড়ছে না। বৃহস্পতিবার রাত আটটা নাগাদ তৃণমূল যুব কংগ্রেসের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভায় তুমুল উত্তেজনা ছড়াল।তাও আবার থানার মূল ফটকে।পুলিশি হস্তক্ষেপে তা নিয়ন্ত্রণ আসে। আর এই ঘটনাকে ঘিরে অস্বস্তিতে শাসকশিবির। আর কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা।
এই ঘটনায় যুব তৃণমূলের দুই কর্মী কৌশিক সিংহ ও দীপক পাসওয়ান আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের দাবী, তাদেরকে ব্যাপক মারধর করা হয় এমনকি মাটিতে ফেলে লাথি, চড়-ঘুষিও মারা হয়। পরে সহকর্মীরা তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে দূজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গোটা ঘটনার পিছনে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মানিক দাসের নেতৃত্বে সাহেব দাস তাদের দলবল নিয়ে হামলা করেছে বলে অভিযোগ আক্রান্ত কৌশিক সিংহের।
যদিও অপর গোষ্ঠীর যুব তৃণমূল নেতা সাহেব দাস গোটা ঘটনা সাজানো বলে দাবী করেছেন। সাহেবের অভিযোগ যে, হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লকের তৃণমূলের যুব সভাপতি জিয়াউর রহমানের দলবল নেই। কর্মী শূন্য চলছে সভাপতির সভাপতিত্ব। তাই আমাদের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ভাবে নিজের গোষ্ঠীতে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। রাতে যুব সভাপতি জিয়াউর রহমানের কিছু দলবল মদ্যপ অবস্থায় ছিল তারা নিজেরাই গন্ডগোল লাগিয়েছে।
হরিশ্চন্দ্রপুরের যুব তৃণমূল সভাপতি মানিক দাস গোটা ঘটনা ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে বলেন, “ওরা তো তৃণমূলের প্রতীক নিয়ে বিজেপির হয়ে কাজ করছে। তারা তৃণমূলে থাকলেও দলের নীতি আদর্শ জানে না। এছাড়া তিনি ঘটনার দিন এলাকায় ছিলেন না। আর কর্মীদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে তা দলের অন্দরেই মেটিয়ে নেওয়া হবে”।
তবে একুশের নির্বাচনের আগে তৃণমূলের এই গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের আশায় বুক বাঁধছে বিজেপি।
মালদা জেলা বিজেপি কমিটির সম্পাদক কিষান কেডিয়ে কটাক্ষ করে জানিয়েছেন, “রাজ্যে তৃণমূল দলটা আর থাকছে না। সব শেষ হয়ে যাচ্ছে বুঝে নিজেদের মধ্যে লড়াই চালিয়েছে যাচ্ছে। তবে তারা বিজেপি কর্মী নয়। তিনি শাসকদলকে কাটমানির সরকার বলে কটাক্ষও করেছেন”। থানা-অফিসের সামনে এমন ঘটনায় প্রশাসন নীরব কেন? শাসক বলেই কি নীরব! সেই প্রশ্ন তুলছে জেলা বিজেপি।
যতই নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে ততই পারদ চড়ছে রাজনৈতিক বাজারে। একুশের লড়াইয়ে কে সাফল্য পাবে এখন সেটাই দেখার বিষয়।