অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ আজ বকেয়া ডিএর দাবীতে সরকারী কর্মচারীদের একাধিক সংগঠন রাজ্য প্রশাসনকে অচল করে দেওয়ার কথা বলেছিল। সেই মতো ধর্মঘটে শামিল সংগঠনগুলির দাবী, ‘‘কলকাতা নয় সহ গোটা রাজ্যের প্রায় সমস্ত সরকারী কার্যালয়ে কাজকর্ম স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে।’’
কিন্তু রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল প্রভাবিত সরকারী কর্মচারী ফেডারেশনের দাবী, ‘‘সরকারী অফিসগুলিতে ধর্মঘটের বিন্দুমাত্র প্রভাব পড়েনি। সকাল ১১টা অবধি নবান্ন, জলসম্পদ, বিধানসভা ও বিকাশ ভবনের মতো প্রায় সমস্ত সরকারী কার্যালয়ে কর্মীদের উপস্থিতির হার স্বাভাবিক রয়েছে। ধর্মঘটীরা রাজ্যের প্রধান সচিবালয়কেই তো অচল করতে পারলেন না।’’
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
তবে খাদ্য ভবন, নব মহাকরণ, ক্রেতাসুরক্ষা ভবন এবং কৃষিবিপণন ভবনে কর্মীদের উপস্থিতির সংখ্যা অন্য দিনের তুলনায় কিছুটা কম। ডিএ নিয়ে ধর্মঘটে শামিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নেতা তাপস চক্রবর্তী জানান, ‘‘ধর্মঘটের সর্বাত্মক প্রভাব পড়েছে। খাদ্য ভবন ও নব মহাকরণে কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
কর্মচারীদের অন্যতম বৃহৎ সংগঠন কো-অর্ডিনেশন কমিটিও ধর্মঘটে শামিল হয়েছে। সারা রাজ্যেই এই ধর্মঘট সফল।’’ তৃণমূল প্রভাবিত সরকারী কর্মচারী ফেডারেশনের নেতা মনোজ চক্রবর্তী এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘রাজ্যে ধর্মঘটের বিন্দুমাত্র প্রভাব পড়েনি। নবান্নে অন্য দিনের তুলনায় হাজিরা বেশী।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
কিন্তু সকালবেলা থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অশান্তির খবর আসতে থাকে। কোথাও কোথাও জোর করে বিদ্যালয় এবং সরকারী কার্যালয় বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। আবার সরকারী কর্মচারীদের একাংশ শাসকদলের কর্মী ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয় হয়ে কার্যালয় খুলে রাখার চেষ্টার অভিযোগ তোলেন।
এছাড়া হুগলী জেলা শিক্ষা ভবনের গেট বন্ধ করে বিজেপির পতাকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়। কয়েক জন বিজেপি কর্মী গেটের সামনে বিক্ষোভও দেখান। আবার হাওড়ার বেশ কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কয়েক জন শিক্ষক ক্লাস নেননি। পাশাপাশি শিলিগুড়ি কলেজের সামনে ডিএ, শূন্যপদে নিয়োগ সহ একাধিক বিষয় নিয়ে ছাত্র সংগঠন ডিএসওর কর্মী সমর্থকরা অবস্থানে বসলে পুলিশ সরিয়ে নিয়ে যায়।
অন্যদিকে কোচবিহারের অফিস পাড়ায় যৌথ মিছিল হয়। সেখানে জেলাশাসক এবং সদর মহকুমা শাসক সহ অন্যান্য অফিসের গেট আটকে দেওয়া হয়। আর যে সমস্ত অফিসের কর্মীরা কাজে যোগ দিয়েছেন, তাদের অফিস থেকে বেরিয়ে ধর্মঘটে শামিল হতে যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয়।