নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মুম্বইঃ আশি ও নব্বইয়ের দশকে মিঠুন চক্রবর্তীর ছবিতে বাপ্পী লাহিড়ীর গান সুপারহিট জুটি হয়ে গিয়েছিল। বাপ্পী লাহিড়ী বাংলা থেকে হিন্দি সব গানেই সিনে জগৎকে মাতিয়ে রেখেছিলেন। মাত্র তিন বছর বয়স থেকে তবলায় বোল তুলেছেন। পরে ধীরে ধীরে ঢোল, ড্রামস, গিটার, পিয়ানো এবং স্যাক্সোফোনের মতো অসংখ্য বাদ্য যন্ত্রে দক্ষ হয়ে উঠেছিলেন।
গানের পাশাপাশি বাপ্পী লাহিড়ীর চেহারা-পোশাক-আশাকও বহু চর্চিত ছিল। ওজনদার ছোটখাটো চেহারায় গা ভর্তি সোনার গয়না ছিল। গলায় সোনার একাধিক ভারী চেন। তাতে বড়োসড়ো লকেট ঝুলত। হাতের সব আঙুলে বহুমূল্যের পাথর বসানো সোনা-রুপোর আংটি। কব্জিতে ব্লেসলেট ছিল। আর কানেও বিভিন্ন রকমের দুল পরতেন। আবার চোখেও সর্বদা রোদচশমা থাকত।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
বাপ্পী লাহিড়ীর গা ভর্তি সোনার গয়নার কারণ হিসেবে এলভিস প্রেসলির যথেষ্ট অবদান ছিল। ‘কিং অব রক অ্যান্ড রোল’-কে নিজের অনুপ্রেরণা মনে করা বাপ্পী লাহিড়ী বলতেন, ‘‘যেভাবে এলভিস প্রেস্লি নিজের ভাবমূর্তি তৈরী করেছিলেন, তাতে একেবারে মুগ্ধ হয়ে তিনি ভেবেছিলেন যে, তাঁকেও এলভিস প্রেস্লির মতো নিজের পরিচিতি গড়ে তুলতে হবে।’’
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
এলভিস প্রেসলির গলাতেও ভারী সোনার ক্রশ ছিল। যা এক সময় বাপ্পী লাহিড়ীর স্টাইল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বাপ্পী লাহিড়ী এও বলেছিলেন যে,‘‘তাঁর প্রথম ছবি ‘জখমি’ দারুণ সফল হয়েছিল। তাতে মা একটা সোনার হার উপহার দিয়েছিলেন। এরপর থেকে সোনা তাঁর কাছে সৌভাগ্যের প্রতীক হয়ে গিয়েছিল। কারণ তারপর থেকে প্রতিটি গানই হিট।’’
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
২০১৪ সালে বাপ্পী লাহিড়ী জানিয়েছিলেন, ‘‘তাঁর কাছে ৭৫৪ গ্রামের সোনার গয়না রয়েছে। এছাড়া ৪.৬২ কিলোগ্রামের রুপোর গয়না আছে। এমনকি চার লক্ষ টাকার একটি হিরের আংটিও রয়েছে।’’ তবে তার পর থেকে আরো আট বছর পার হয়ে গেছে। ফলে বাপ্পী লাহিড়ীর গয়নার ঝুলিতে আরো সোনা যুক্ত হয়েছিল।