মিনাক্ষী দাসঃ পেট ভালো না থাকলে শরীর, মন-মেজাজ কিছুই ঠিক থাকে না। আর রোজ রোজ গ্যাস-অম্বল হওয়া মোটেই ভালো বিষয় নয়। অথচ, বাঙালীরর ঘরে ঘরে এই গ্যাস-অম্বলের সমস্যা। একদিন নিয়মের বাইরে খাবার খেলেই চোঁয়া ঢেকুর শুরু হয়ে যায়। আর যদি অতিরিক্ত পরিমাণে ফাস্টফুড ও তেল-মশলাদার খাবার খাওয়া যায় তাহলে হজমের গোলমাল সহজে পিছু ছাড়বে না। তাই বদহজমের সমস্যা এড়াতে গেলে খাওয়া-দাওয়ায় পরিবর্তন আনতেই হবে। কিন্তু অনেকেই বাটির তৈরী খাবার খেয়েও হজমের সমস্যায় ভোগেন। এক্ষেত্রে ডায়েটের পাশাপাশি লাইফস্টাইলেও বদল আনতে হবে। তবে এই নিয়মগুলি মেনে চললে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা এড়ানো সম্ভব।
পর্যাপ্ত ঘুম- পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হলে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা বাড়ে। এছাড়া ওবেসিটি, ডিপ্রেশন এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে। তাই রাতেরবেলা অন্তত আট ঘণ্টার ঘুম প্রয়োজন।
নিয়মিত হাঁটা- রুটিনহীন, খামখেয়ালিপনা জীবনযাপন করলে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা এড়ানো যাবে না। দুপুরবেলা হোক বা রাতেরবেলা, খাওয়া শেষ করেই বিছানায় শুয়ে পড়ার অভ্যাস ভালো নয়। বরং, খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ত্রিশ মিনিট হাঁটাহাঁটি করলে দ্রুত খাবার হজম হয়ে যাবে। আর একাধিক রোগের ঝুঁকি দূর করা সম্ভব।
রাতে দই নয়- টক দই অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। টক দই খেলে হজমের সমস্যা এড়ানো যায়। কিন্তু রাতেরবেলা দই খাওয়া উচিত নয়। এতে কফ ও পিত্তর সমস্যা বাড়ে। এমনকি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা যায়।
দুপুরের পর ফাস্ট ফুড নয়- মাঝেমধ্যে মুখরোচক অথবা ফাস্ট ফুড খাওয়ার ইচ্ছে হয়। তবে যেকোনো ফাস্ট ফুড খাবার দুপুরবেলার মধ্যে খেয়ে নেওয়া উচিত। বিকেলবেলা কিংবা রাতেরবেলা এই ধরণের ভারী এবং ফ্যাট জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলাই উচিত। এতে হজমের সমস্যা এড়ানোর পাশাপাশি ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।