মিনাক্ষী দাসঃ সর্দি-কাশি থেকে বাতের ব্যথা, রসুনের তেলের গুণাগুণ অপরিহার্য। কিন্তু রসুন তেলের তীব্র ও ঝাঁঝালো গন্ধের জন্য অনেকে এই আনাজ খেতে পারেন না। তবে রান্না করে খেলে তেমন গন্ধ থাকে না। আবার অনেকে অল্প তেলে রসুন ভেজে খান। কিন্তু আয়ুর্বেদে কাঁচা রসুন খাওয়ার কথা বলা হয়েছে। আর রান্না করে খেলে রসুনের ভেষজ গুণ নষ্ট হতে পারে। তবে যদি একান্তই রসুনের গন্ধ অস্বস্তিতে ফেলে, সেক্ষেত্রে খোসা সহ রসুন শুকনো খোলায় সেঁকে নিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এছাড়া এখন বাজারে রসুনের গুঁড়োও কিনতে পাওয়া যায়। কাঁচা বা রান্না করা রসুনের গন্ধের চেয়ে গুঁড়ো রসুনের গন্ধ অনেকটা হালকা। তাছাড়া ভিনিগার অথবা লেবুর রসে রসুনের কোয়া ভিজিয়ে রাখলেও রসুনের গন্ধ ম্লান হয়ে যায়।
যদিও কাঁচা রসুন হোক কিংবা রসুনের তেল, নিয়মিত খেলে উপকার হবেই।
১) রসুনের মধ্যে এমন কিছু সক্রিয় উপাদান রয়েছে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। সারা শরীরে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতেও এই উপাদানগুলির ভূমিকা রয়েছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here২) রসুনের মধ্যে ‘অ্যালিসিন’ রয়েছে। রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা উন্নত করতে এই উপাদানের অত্যন্ত ভূমিকা রয়েছে। সাধারণ ঠান্ডা লাগা, সংক্রমণজনিত সর্দি-কাশির দাপট নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here৩) যেহেতু রসুন খেলে প্রদাহজনিত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে, তাই ডায়াবেটিকেরা মনে করেন এই সব্জিটি রক্তে বাড়তি শর্করাও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। আর ২০০৬ সালে একটি গবেষণায় তেমন প্রমাণও মিলেছে।
৪) রসুনের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানের পরিমাণও প্রচুর। তাই বয়সজনিত ব্যথাবেদনা অথবা আর্থ্রাইটিসের ব্যথায় আরাম মেলে।
৫) রসুন হজমের গোলমাল সারিয়ে দিতে পারে। পাশাপাশি খাবার হজমে সহায়ক বিভিন্ন উৎসেচক ক্ষরণের পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে। এমনকি অন্ত্রের মধ্যে থাকা খারাপ ব্যাক্টেরিয়ার সাথে লড়াই করতেও সহায়তা করে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here