অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ আজ থেকে প্যাকেটবন্দি সহ লেবেল দেওয়া সমস্ত খাবারের জিনিসে জিএসটি বসছে। অনেকগুলিতে আজ থেকে জিএসটির সংশোধিত হার চালু হওয়ায় করও বাড়ছে। গত মাসে জিএসটি পরিষদের বৈঠকে কর ছাড়ের তালিকা ছাঁটা ও বেশ কিছু পণ্যে তার হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়।
০.২৫% থেকে ১.৫০% কাটা এবং পালিশ করা হিরেতে কর বাড়ছে। ৫% থেকে ১৮% গুড়, দই, লস্যি, পনির, বাটার মিল্ক, খাদ্যশস্য অর্থাৎ চাল, ডাল-বীজ, আটা, মুড়ি, আলকাতরা, ডিজিটাল বর্জ্য, বায়ু চালিত আটার চাকি, বাছাই ও শ্রেণী বিন্যাসের যন্ত্রে এছাড়া হাসপাতালে দিনে পাঁচ হাজার টাকার বেশী ভাড়ার ঘরে কর বাড়ছে।
৫% থেকে বেড়ে ১২% গ্লোব, মানচিত্র, কোলবেড মিথেন, টপোগ্রাফিক্যাল প্লান, সোলার ওয়াটার হিটার এবং পণ্য উৎপাদনের জন্য তৈরী চামড়ায় কর বাড়ছে।
১২% থেকে বেড়ে ১৮% ছুরি, ব্লেড, চামচ, শার্পনার, টেটরা প্যাক, এলইডি আলো, আঁকার যন্ত্রপাতি, শ্রেণী বিন্যাসের যন্ত্র, বিদ্যুৎচালিত পাম্প, ছাপা, লেখা ও আঁকার কালি, চেকবুক বা তার খুচরো পাতা এবং ডিম-ফল-অন্যান্য কৃষিজ পণ্য বাছাইয়ে কর বাড়ছে।
আর ছাড়ের আওতায় প্রতিরক্ষায় জোগানো বেসরকারী ক্ষেত্রের আমদানী করা সামগ্রী ও ফাইলেরিয়া নির্মূল করা ট্যাবলেট ডিইসির দাম কমছে। ১২% থেকে ৫% কৃত্রিম অঙ্গ, দেহে বসানোর যন্ত্র, হাড়ের চিকিৎসার কিছু যন্ত্র এবং শল্য চিকিৎসার কিছু সামগ্রীর দাম কমছে।
![- Sponsored -](https://indianprimetime.in/wp-content/uploads/2021/02/advertisehere.png)
- Sponsored -
১৮% থেকে ৫% রোপওয়েতে যাত্রী ও পণ্য বহনে দাম কমেছে। ১৮% থেকে ১২% ট্রাক এবং পণ্যবাহী যানবাহনের ভাড়া কমছে।
অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকার জানান, ‘‘কেন্দ্র দাবী করে আয়করের জাল সম্প্রসারিত হয়েছে। বাস্তবে সিংহভাগই কর দেন না। সেই খাতে জিএসটি বাড়িয়ে রাজস্ব আদায়ের ঘাটতি মেটানো হচ্ছে। কিন্তু সরকার সাধারণ মানুষের কল্যাণের কথা ভাবলে কর্পোরেট করের হার কমিয়ে মুড়ির মতো জিনিসের কর বাড়াতো না। এটা আশ্চর্য ব্যাপার।’’
এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের অনেকেই অসন্তুষ্ট। ব্যবসায়ী সংগঠনের সিডব্লিউবিটিএর সভাপতি সুশীল পোদ্দার বলেন, “মোদী সরকার জিএসটি চালুর সময়ে পণ্যের দাম কমবে বলেছিল। তবে বাস্তবে তা বাড়ছে। এই আইনে ১০০০ টি সংশোধন হয়েছে।’’
ওই সংগঠনেরই কর কমিটির আহ্বায়ক যতনলাল বারডিয়া বলেছেন, “কেন্দ্র দাবী করলেও, জিএসটি ব্যবস্থা মোটেই সরল নয়। করের হিসাবরক্ষার পাশপাশি তা মেটানোও অত্যন্ত খরচসাপেক্ষ।’’
সংশ্লিষ্ট মহলের অভিযোগ, “এমনিতেই আম জনতা গৃহস্থ খাদ্যপণ্য, জ্বালানী সহ সব কিছুর লাগাম ছাড়া দামে একেবারে নাজেহাল। এই অবস্থায় জিএসটি বেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত তাদের স্বার্থের পরিপন্থী।’’