চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, ‘মাধ্যমিক পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতির জন্য বিদ্যালয়গুলি বিভিন্ন ব্যবস্থা করে। এর জন্য খরচও হয় তাই বিদ্যালয়গুলিকে সাহায্য করার জন্যই আগামী বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মাথা পিছু দশ টাকা দেওয়া হচ্ছে।’
কিন্তু অভিভাবক থেকে শিক্ষক সকলের একই প্রশ্ন যে, এই দশ টাকায় কি হবে? কিছু শিক্ষকদের কথায়, ‘‘এক এক জনকে একটি করে সস্তার পেন দেওয়া যেতে পারে। এর বাইরে আর কিছু দেওয়া বা করার কথা মাথায় আসছে না।’’ আবার কিছু শিক্ষকদের কথায়, ‘‘যদি ধরে নিই, পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য যে অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়া হয়, সেই ক্লাসে টিফিনের ব্যবস্থা করার জন্য এই অনুদান, তাহলেও তো দশ টাকায় এক দিন একটা সন্দেশের বেশী কিছু পাওয়া যাবে না। আর পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য তো এক দিন ক্লাস নেওয়া হয় না। বেশ কয়েক দিন ক্লাস নেওয়া হয়।’’
শিক্ষকদের প্রশ্ন, পরীক্ষার দিন কোনো পরীক্ষার্থী রিকশায় পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে চাইলে ওই টাকায় তা সম্ভব হবে? প্রধান শিক্ষকদের সংগঠন ‘অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেসের’ রাজ্য সম্পাদক চন্দন মাইতি জানান, ‘‘খুবই হাস্যকর একটা বিষয়। পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার সময়ে এই দশ টাকায় একটা ডাবও দেওয়া যাবে না। তবে ছোটো একটি জলের বোতল হতে পারে।’’
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এক জন কর্তার দাবী, ‘‘এই টাকা মাথা পিছু কম বলে মনে হলেও সার্বিক ভাবে যদি কোনো বিদ্যালয়ে তিনশো জন পরীক্ষা দেয়, তাহলে তিন হাজার টাকা হচ্ছে। সার্বিক ভাবে পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বিদ্যালয় থেকে কিছু ব্যবস্থা করা যেতেই পারে।’’ উল্লেখ্য যে, ২০২৪ সালে প্রায় দশ লক্ষ পরীক্ষার্থী মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসতে চলেছে। এতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সব মিলিয়ে প্রায় এক কোটি টাকা খরচ করতে চলেছে।