নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মুর্শিদাবাদঃ গতকাল মুর্শিদাবাদের বহরমপুর মেডিকেল কলেজে এক রোগীর চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে সিএমওএইচ বা জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য মুখ্য আধিকারিকের দপ্তরে গিয়ে সিএমওএইচকে শারীরিক নিগ্রহের ঘটনায় পুলিশ ১৪ জনকে গ্রেফতার করেন। আজ ধৃতদের আদালতে তোলা হয়েছে।
জানা গেছে, বহরমপুর থানার বুটারডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা গোলবাহার শেখ পেটে ব্যথা নিয়ে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজে ভর্তি হলে সেখানে অ্যাপেন্ডিক্স অপারেশন হয়। কিন্তু কিছু দিন পর পেটে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকের পরামর্শ মতো বহরমপুরের একটি বেসরকারী হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে সেখানে আবার অপারেশন করা হয়।
এরপর অভিযোগ ওঠে, ‘‘বেসরকারী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রায় ৩ লক্ষ টাকার বিল করে। যা সরকারী হাসপাতালের ওই শল্যচিকিৎসকের দেওয়ার কথা ছিল। কারণ তার গাফিলতিতেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। তবে ওই চিকিৎসক সমস্ত ব্যয়ভার নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও পরে বিল মেটাতে অস্বীকার করেন।’’
ফলে পরিবারের তরফে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে ক্ষতিপূরণ দাবী করে জেলা সভাধিপতি সামসুজ্জোহা বিশ্বাস ও বিধায়ক নিয়ামত শেখের উপস্থিতিতে সিএমওএইচ সন্দীপ সান্যালকে নিগ্রহ করেন। বহরমপুর থানার পুলিশবাহিনী এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে সন্দীপবাবুকে উদ্ধার করেন।
তারপর মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে ওই ১৪ জনকে গ্রেফতার করেন। অন্য দিকে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে হেনস্থা ও শারীরিক নিগ্রহের প্রতিবাদে লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে প্রতিবাদ সভা করে বিক্ষোভ দেখান।