অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ লাগাম ছাড়া করোনা পরিস্থিতির দাপটে জেরবার গোটা রাজ্য। তাই সব দিক বিচার বিবেচনা করে রাজ্য সরকার চারটি পুরনিগমে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ রাজ্যের তরফে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
এই চারটি পুরনিগম হলো শিলিগুড়ি, আসানসোল, চন্দননগর ও বিধাননগর। ২২ শে জানুয়ারী এই চার পুরনিগ্মে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভোট নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পর নির্বাচন কমিশন রাজ্যের অবস্থান জানতে চেয়েছিল। এরপর আজ রাজ্যের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেওয়া হয়।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
চিঠিতে জানানো হয়েছে যে, ‘করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য প্রস্তুত। তবে ভোট পিছিয়ে দিলে কোনো আপত্তি নেই’। ফলে রাজ্য নির্বাচন কমিশন রাজ্যের পুরভোট পিছোনো নিয়ে রাজ্যের অনুরোধের চিঠি পাওয়ার পর ১২ ই ফেব্রুয়ারী নির্বাচনের দিন ঘোষণা করল।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
নিরবাচন কমিশন জানিয়েছে, “গণনা নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আদালতকে সম্মান জানিয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন করে প্রচার নিয়ে কিছু সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে প্রচার নিয়ে পূর্ব বিধিনিষেধই বজায় থাকবে। নিয়ম মেনেই প্রচার করা যাবে। ৭২ ঘণ্টা আগে প্রচার বন্ধ করে দিতে হবে”।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereসিপিএম নেতা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এই প্রসঙ্গে বলেন, “এটা তো অবধারিতই। এটা না করলে তো নিজেদের মুখ রক্ষা হবে না। তাই এখন চিঠি দিয়েছে। আদালতের নির্দেশে স্পষ্ট ভোট পিছিয়ে দিতে হবে। যে কাজটা সরকারের করা উচিৎ ছিল সেটা আদালতে গিয়ে করাতে হচ্ছে।
এখন চিঠি দেওয়া বা না দেওয়ায় কোনো আলাদা গুরুত্ব আমি দেখি না। এটা তো করতেই হবে। গঙ্গাসাগর মেলা করাতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গকে তো শেষ করে দিল। এবার হাইকোর্টের নির্দেশের পর যদি ভোট করাতে চায় তাহলে তো সকলেই বোধবুদ্ধিহীন বলতে হবে”।