চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ আজ বাজেট অধিবেশনের শেষ দিনে বিজেপির বিধায়করা প্ল্যাকার্ড হাতে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এরপর বিরোধী ও শাসক দলের বিধায়কদের হাতাহাতি জড়িয়ে পড়েন। হাতাহাতির জেরে তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার আহত হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। আর বিজেপি বিধায়করা ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে দিতে অধিবেশন কক্ষ ত্যাগ করেন।
এদিকে পুরুলিয়ার বিজেপি বিধায়ক নরহরি মাহাতো এবং মাদারিহাটের বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গাকেকে মারধর করা হয়েছে বলে বিজেপি অভিযোগ তোলে। মনোজ টিগ্গাকে ঘুসি মেরে জামাও ছিঁড়ে দেওয়া হয়। এমনকি চন্দনা বাউড়ির গায়ে পুরুষ পুলিশ নিরাপত্তাকর্মীরা হাত দেন। এর পাশাপাশি বিজেপি বিধায়ক তাপসী মণ্ডল, রহিম বক্সী, শওকত মোল্লা এবং তপন চট্টোপাধ্যায়ের উপর হামলা চালানো হয়।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereবিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বগটুই-কাণ্ডের জেরে বিধানসভায় অশান্তির পিছনে সরাসরি শাসকদলকে নিশানা করলেন। এদিন অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করার পরে বলেন, ‘‘অধিবেশনের শুরুতেই অন্য আলোচনা মুলতুবি করে রামপুরহাট হত্যাকাণ্ড ও গতকাল বসিরহাটে নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনার উল্লেখ করে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার দাবী তোলা হয়েছিল।
অধিবেশন চালাকালীন রাজ্য সরকার বিধানসভায় কোনো বিবৃতি না দিয়ে বাইরে ‘সিট’ গঠন এবং ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করার কারণ জানতে চেয়ে প্রশ্নও তোলা হয়। আর এর প্রতিবাদে ৩০ মিনিট বিক্ষোভ করা হবে জানানো হয়েছিল। কিন্তু তার আগেই স্পীকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে পুলিশের নিরাপত্তাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে।’’
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
পরিকল্পনা মাফিক কলকাতা পুলিশের কর্মীদের সাদা পোশাকে অধিবেশন কক্ষের মধ্যে ঢোকানো হয়েছিল। প্রথমে তারাই বিজেপি বিধায়কদের উপর হামলা চালায়।’’
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereবিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়কদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘‘এরকম আচরণ করবেন না। মহিলাদের ধাক্কাধাক্কি করা উচিত না। আপনারা মহিলা সিকিউরিটিকে ধাক্কাধাক্কি করছেন। আপনারা সরে যান। এখানে যে সব সমস্ত সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে সেগুলির হিসেব রেখে সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে। এর পাশাপাশি অশান্তি করার জেরে বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী, মনোজ টিগ্গা, শঙ্কর ঘোষ সহ পাঁচ জনকে সাসপেন্ড করা হবে।’’