পথের ধারে সারি সারি টমেটো ফেলে দিচ্ছেন কৃষকরা
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ কর্ণাটকঃ করোনা পরিস্থিতি দেশ জুড়ে করোনা সংক্রমণ আটকাতে বিভিন্ন রাজ্য জুড়ে লকডাউন জারি করা হয়েছে। তাই লকডাউনের জেরে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যাতায়াত ব্যবস্থায় পরিবহন বন্ধ করা হয়েছে। ফলে কৃষকরা নিজেদের উত্পাদিত ফসল ঠিকঠাক বিক্রি করতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন। আবার বিক্রি করলেও দাম পাচ্ছেন না। অগত্যা নিজেদের উত্পাদিত ফসল রাস্তার ধারে ফেলে যাচ্ছেন।

- Sponsored -
এই ঘটনাটি কর্ণাটকের কোলার জেলায় ঘটেছে। কৃষকরা জানান যে, “১৫ কেজি টমেটোর জন্য ২ টাকা দাম পাচ্ছেন। এতে যাতায়াতের খরচ সহ চাষের প্রাথমিক খরচও উঠছে না”।
কৃষকদের সংগঠনের তরফে জানানো হল, “লকডাউন থাকায় কর্নাটক থেকে কেরল, তামিলনাড়ুতে খুব বেশী ট্রাক যাতায়াত করতে পারছে না। এরফলে চাহিদাই তৈরী হচ্ছে না। আর যদিও চাহিদা থাকে তাতে সময়মতো পৌঁছনো যাচ্ছে না। কৃষিজদ্রব্য পচে যাচ্ছে। তারফলে তারা রাস্তার ধারে টমেটোগুলি ফেলে দিচ্ছেন”।
এমনকি কর্নাটকের ফুলচাষীদেরও একই দশা। ফুলের দোকান বন্ধ। তাছাড়া ফুল তোলার জন্য কোনো পরিযায়ী শ্রমিকও পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ লকডাউনে পরিযায়ী শ্রমিকরা সবাই দেশে ফিরে গেছেন। যার জেরে কৃষকরা নিজেরাই ফুলের ক্ষেতে ট্রাক্টর চালিয়ে ফুল নষ্ট করছেন।
এই প্রসঙ্গে কর্নাটকের ইয়েদুরাপ্পা সরকার জানিয়েছেন, “যারা লকডাউনের জন্য রুজি-রুটি হারিয়েছেন তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। কৃষকদের প্রতি হেক্টর জমির জন্য ১০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এই জন্য ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে”। কিন্তু চাষীরা জানিয়ে দিয়েছেন, “তাদের এই টাকায় পুরোপুরি ক্ষতি মিটবে না”।