নিজস্ব সংবাদদাতাঃ উত্তরপ্রদেশঃ প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাহারের ফল যে মারাত্মক আকার নিতে পারে তা হয়তো বুঝে উঠতে পারেনি উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ের বাবুরা গ্রামের ১৭ বছরের একজন কিশোরী। ভালোবাসার প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় ২৮ বছর বয়সী বিনয় নামের এক যুবক ওই কিশোরীকে উপযুক্ত শিক্ষা দিতে তার জন্য কীটনাশক মেশানো জল নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সেখানে উপস্থিত বাকি দুই কিশোরী ওই জল খেয়ে ফেলায় তাদের মৃত্যু হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, লকডাউনে ওই তিনজন নাবালিকা কিশোরীর পাশের গ্রামের ছেলে বিনয়ের সাথে পরিচয় হয়। প্রায়শই তাদের ক্ষেতের জমিতে দেখা সাক্ষাৎ হতো। একদিন সেখানে বিনয় তাদের মধ্যে সবথেকে বড়ো ১৭ বছর বয়সী কিশোরীকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু ওই কিশোরী তাতে রাজি হয়নি। আর বিনয়কে ফোন নম্বর দিতেও নারাজ ছিল।
ঘটনার দিন তিন বোন দোকান থেকে চিপস ও কিছু খাবার কিনে জমিতে গিয়েছিল। আর সেখানে বিনয় তিনজন নাবালিকার জন্য কীটনাশক মেশানো জল বোতল নিয়ে যায়। তার সঙ্গে পাড়ার এক কিশোরও ছিল। নাবালিকারা জল খাওয়ার পর মুখ থেকে গ্যাঁজলা উঠেতেই ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। এরপর তাদের উদ্ধার করে কানপুরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সাথে সাথেই দুই বোনের মৃত্যু হয়। আর ১৭ বছর বয়সী কিশোরীর অবস্থাও আশংকাজনক।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereপুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে বিনয়ের মোবাইলের মাধ্যমে খোঁজ শুরু করতেই তাকে আটক করা হয়। পুলিশী জেরার মুখে সে সব অপরাধ স্বীকার করেছে। আর তার কাছ থেকে নাবালক ওই কিশোরের কথা পুলিশ জানতে পেরেছে।
কিশোরীদের পরিবারের সকলে বিনয়ের ফাঁসির দাবী তুলেছেন। তবে তাদের মধ্যে একজন কিশোরীর মায়ের অভিযোগ যে, তার মেয়ের উপর যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছে। কারণ তার দেহ উদ্ধার হওয়ার সময় মৃতার হাত-পা বাঁধা ছিল।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereকিশোরীর এক দাদা বলেছেন, “আমার বোন কোনোদিন বিনয়ের সঙ্গে কথা বলেনি। ওর কাছে ফোনও ছিল না। তাহলে ফোন নম্বর দেওয়ার প্রশ্ন ওঠে কীভাবে?”
পুলিশ পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে উপযুক্ত শাস্তির আশ্বাস দিয়েছেন।