নিজস্ব সংবাদদাতাঃ হাওড়াঃ স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগ নিয়ে রাতের অন্ধকারে বাড়িতে ঢুকে গৃহবধূকে গণধর্ষণ করে হাত-পা বেঁধে ফেলে রেখে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। হাওড়ার বাগনানের ষষ্ঠীতলা এলাকায় এই নির্মম ঘটনাটি ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গৃহবধূর এক বছর আগে স্ট্রোক হওয়ায় বাকশক্তি হারিয়ে ফেলেছেন। শনিবার রাতেরবেলা স্বামী ও ছেলে রাতে বাড়িতে না থাকায় বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগে দুষ্কৃতীরা বাড়িতে ঢুকে ওই গৃহবধূকে গণধর্ষণ করার পর হাত-পা বেঁধে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
এরপরে প্রতিবেশীরা বিষয়টি জানতে পেরে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন। তারপর স্বামী এবং ছেলেকে খবর পাঠানো হয়। খবর পেয়ে তারা এসে গতকাল রাতেরবেলা ওই গৃহবধূর স্বামী পাঁচ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে উলুবেড়িয়া মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে দেবাশিস রানা ও কুতুবুদ্দিন মল্লিক নামে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এরা স্থানীয় তৃণমূল নেতা বলে পরিচিত। আজ ধৃত দেবাশিস রানা এবং কুতুবুদ্দিন মল্লিককে উলুবেড়িয়া আদালতে তোলা হবে।
এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, “ওই গৃহবধূর স্বামী সক্রিয় বিজেপি কর্মী হিসেবে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে কাজ করেছিলেন। যদিও নির্বাচনের পর থেকে ঘরছাড়া ছিলেন”। হাওড়া টাউন তৃণমূল সভাপতি অরূপ রায়ের আশ্বাস দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন যে, “দোষী যেই হোক গ্রেপ্তার করে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে”। এই ঘটনাটিকে ঘিরে এলাকায় তুমুল রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু হয়েছে।