অমিত জানাঃ হাওড়াঃ কিছুটা হতাশা! কিছুটা ক্ষোভ! কিছুটা অভিমান! হাওড়ার সাঁকরাইলের তৃণমূল বিধায়ক শীতল সর্দারের বক্তব্যে এই সারমর্ম সামনে উঠে এল। সোমবার দলের হয়ে সাংবাদিক বৈঠকে জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করল সাঁকরাইলের তৃণমূল বিধায়ক শীতল সর্দার।
তিনি অভিযোগ করেন, “তাঁকে দলের কোনো মিটিং মিছিলে ডাকা হয় না। ডুমুরজলার সভা ও মিছিলেও ডাকা হয়নি তাঁকে। মন চাইলেও যেতে পারিনি ডাক না পাওয়ায়। একরাশ মনখারাপের কথা দলের বিধায়কের গলায়”। এছাড়াও তিনি বলেছেন, “আমাদের কার্ড দেওয়ার দরকার নেই। শুধু একটা ফোন করলেই চলে যেতাম”।
হাওড়ার সাঁকরাইলের তৃণমূল বিধায়ক আরো জানিয়েছেন, “খেলা হবে। খেলা হবে। আমাদের গোলরক্ষক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমন খেলা হবে যে ওরা আর উঠে দাঁড়াতে পারবে না। আর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল ছাড়া একদমই উচিত হয়নি”। কিন্তু তাঁকে দলীয় কর্মসূচীতে ডাকা হয়নি বলে আক্ষেপও প্রকাশ করেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
এ সম্পর্কে হাওড়া সদরের সভাপতি ভাস্কর ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, “সাঁকরাইলটা সাংগঠনিক ভাবে গ্রামীণ জেলা কমিটি দেখে। আমরা বিধানসভা কেন্দ্রগুলি দেখি। সেগুলি হল বালি, পাঁচলা, ডোমজুড়, শিবপুর, উত্তর হাওড়া, মধ্য হাওড়া, দক্ষিণ হাওড়া ও জগৎবল্লভপুর। সাঁকরাইলটা গ্রামীণ সেক্টরের মধ্যে পড়ে। উনি আমাদের পুরোনো বিধায়ক। আমরা লোক পাঠিয়েছিলাম। কোনো কারণে ভুল বোঝাবুঝি হয়ে গেছে। আমরা সমস্ত বিধায়ক এবং নেতৃত্বকে খবর দিই”। তবে যদি কোনো ভুল হয়ে থাকে তাহলে পরবর্তীকালে আর হবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন ভাস্করবাবু।