নিজস্ব সংবাদদাতাঃ হুগলীঃ বিধানসভা নির্বাচন যতো সামনে আসছে জেলায় জেলায় রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে অশান্তি ততোই বেড়ে চলেছে। ফলে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে বিভিন্ন জেলা। গতকাল গভীর রাতে হুগলীর পোলবার হোসনাবাদ এলাকায় তৃণমূলের কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এটি রাজহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত দীর্ঘদিনের পার্টি অফিস। যার জেরে আজ সকাল থেকে এলাকা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। এই ধরণের ঘটনায় তৃণমূলের দলীয় কর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
এই ঘটনায় তৃণমূল কর্মীরা বিজেপির দিকেই অভিযোগের আঙুল তোলে। এমনকি তারা পার্টি অফিসে ভাঙচুরের ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে সোচ্চার হন। এর পাশাপাশি জি টি রোড অবরোধ করে রাস্তার উপর টায়ার ও পাথর ফেলে অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। এর ফলে যানচলাচলেও বিঘ্ন ঘটে।
ঘটনাটির খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পোলবা থানার পুলিশ উপস্থিত হয়। পরে পুলিশের কাছে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করার আশ্বাস পেয়ে তৃণমূল নেতারা অবরোধ তুলে নেন। তারা পুলিশের কাছে এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকতে পারে এমন কয়েকজন ব্যক্তির নামও জানিয়েছেন।
চুঁচু্ড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেছেন, ”শুক্রবার রাতে দলের কর্মীদের বৈঠক ছিল। তাই তারা অনেক রাত পর্যন্ত পার্টি অফিসে ছিলেন। তারপর বিজেপি আশ্রিতরা দুষ্কৃতীরা অফিসে ঢুকে চেয়ার টেবিল সহ অফিসে থাকা সবকিছুই ভাঙচুর করে। তাই দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে এবং এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ বিকালে হোসনাবাদে সভা ডাকা হয়েছে। নির্বাচনের আগে বিজেপি রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করছে। মানুষ এর উত্তর নির্বাচনেই দেবে”।
কিন্তু বিধায়কের এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করে বিজেপি যুবমোর্চার সভাপতি সুরেশ সাউ জানিয়েছেন, ”তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে এই ঘটনা ঘটেছে। বিজেপি কখনোই পার্টি অফিস ভাঙচুর করে না। গতকাল রাতের এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের দলের কো্নো সম্পর্ক নেই”।
তবে পুলিশ ঘটনাটির পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে। এছাড়া তৃণমূল ও বিজেপি উভয় গোষ্ঠীর নেতা এবং কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে।