নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বীরভূমঃ আজ ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) বীরভূমের বোলপুরের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে হানা দিয়েছে। বর্তমানে তিহাড়ে জেলবন্দি থাকা তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল প্রতি বছরই তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় অর্থাৎ বোলপুর পার্টি অফিসে ধুমধাম করে কালীপুজোর আয়োজন করতেন। কালীপ্রতিমাকে বিপুল সোনার গহনায় সাজানো হত। আর ওই গহনা এই ব্যাঙ্কের শাখার লকারে রাখা থাকায় ইডি ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের সাথে কথা বলতেই ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায় গিয়েছেন।
ইডি ওই ব্যাঙ্কের সামনে আসতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যাঙ্ক চত্বর ঘিরে ফেলে। এরপর পাঁচ জন ইডি আধিকারিক ব্যাঙ্কের ভিতরে প্রবেশ করে ব্যাঙ্ককর্মী ও আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং কাগজপত্র খতিয়ে দেখছেন। এর আগেও যখন অনুব্রতকে গোরু পাচার মামলায় তলব করা হয়েছিল তখন বার বার এই গহনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। প্রসঙ্গত, ১৯৮৮ সাল থেকে শুরু হওয়া এই পুজোর জাঁকজমক তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে শুরু হয়। যত দিন গিয়েছে পুজোর আয়োজনও বেড়েছে। মাঝে মাতৃবিয়োগ ও স্ত্রীর মৃত্যুর কারণে তিনি প্রতিমাকে নিজের হাতে সাজাতে পারেননি।

- Sponsored -
এরপর ২০২০ সালে প্রতিমাকে তিনশো ভরির বেশী সোনার গহনায় সাজানো হয়েছিল। ২০২১ সালে বাউটি, কানের দুল, গলার হার, বাজুবন্ধন, হাতের আংটি, কোমরের বিছে, সোনার মুকুট মিলিয়ে প্রায় ৫৬০ ভরি সোনার গহনায় সাজিয়ে তুলেছিলেন। বর্তমানে এই গহনার আনুমানিক বাজারমূল্য আড়াই কোটি টাকারও বেশী। কিন্তু অনুব্রত সিবিআইয়ের (সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন) হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে পুজোয় জাঁকজমক কমে আসে। সোনার গহনার বদলে ইমিটেশনের গহনা জায়গা নেয়।