মিনাক্ষী দাসঃ কলকাতাঃ আরো একবার শিয়ালদহ ডিভিশনে রেল পরিষেবা ব্যাহত হতে চলেছে। আগামীকাল শনিবার রাতেরবেলা থেকে রবিবার সকালবেলা অবধি ডানকুনি ও ডায়মন্ড হারবার শাখায় ‘পাওয়ার ব্লক’ থাকায় পূর্ব রেলের তরফ থেকে কয়েকটি লোকাল বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া, কয়েকটি এক্সপ্রেস ট্রেনেরও পথও সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে।
পূর্ব রেল জানিয়েছে, দমদম এবং বরাহনগর স্টেশনের মাঝে একটি সেতু মেরামতির কাজ করা হবে। তাই শনিবার রাতেরবেলা ১০টা ৩০ মিনিট থেকে রবিবার সকালবেলা ৬টা ৩০ মিনিট অবধি মেরামতির কাজের জন্য দমদম-বরাহনগর আপ লাইনের ওই অংশে ট্রাফিক ব্লক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও শনিবার রাতেরবেলা ১১টা ৪০ মিনিট থেকে রবিবার ভোরবেলা ৫টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত দমদম-বেলঘরিয়া শাখায় আপ ও ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল নিয়ন্ত্রিত করা হবে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, শনিবার রাতে শেষ শিয়ালদহ-ডানকুনি লোকাল এবং ডানকুনি-শিয়ালদহ লোকাল বাতিল থাকছে। পাশাপাশি, রবিবার সকালেও ওই চার জোড়া লোকাল বাতিল করেছে রেল। কয়েকটি এক্সপ্রেসের রুট পরিবর্তন করার কথাও জানিয়েছে রেল। কলকাতা-সীতামঢ়ি, শিয়ালদহ-আজমের এবং পদাতিক এক্সপ্রেস এবং শিয়ালদহ-জয়নগর স্পেশাল ডানকুনির পরিবর্তে নৈহাটি-ব্যান্ডেল দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
শুধু শিয়ালদহের উত্তর ডিভিশনে নয়, দক্ষিণের ডায়মন্ড হারবার শাখায় ওভারহেড মেরামতির কাজের জন্য শনিবার মধ্যরাত থেকে রবিবার ভোর পর্যন্ত তিন ঘণ্টা ট্রাফিক ও পাওয়ার ব্লক হবে। দেউলা এবং ডায়মন্ড হারবারের মধ্যে কাজ হবে বলে জানিয়েছে পূর্ব রেল। এই মেরামতির কাজের জন্য কোনও লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়নি। তবে শনিবারের শেষ ডায়মন্ড হারবার লোকালটি মগরাহাট স্টেশন পর্যন্ত যাবে, পরের দিন ভোরে মগরাহাট থেকেই শিয়ালদহের উদ্দেশে ছাড়বে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
আরো জানানো হয়েছে যে, শুধু আগামী শনিবার-রবিবার নয়, জুলাই মাসের ২১ তারিখ অবধি প্রতি শনিবার-রবিবার এই মেরামতির কাজ চলবে। একই ভাবে শেষ ডায়মন্ড লোকালের পথ সংক্ষিপ্ত করা হবে। খুব কম সময়ের জন্য ট্রাফিক এবং পাওয়ার ব্লক করা হলেও যাত্রীদের দুর্ভোগ থেকেই যাচ্ছে। অসুবিধার জন্য রেল কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে সহযোগীতার কথাও জানিয়েছেন। উল্লেখ্য যে, গত সপ্তাহের শুক্রবার, শনিবার ও রবিবার শিয়ালদহের এক নম্বর থেকে পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মেরামতি এবং সিগন্যালিংয়ের কাজের জন্য নিত্যযাত্রীরা চরম ভোগান্তির মুখে পড়েছিলেন।