নির্যাতিতার দেহ নিয়ে মিছিল চলাকালীন ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জয়নগর

Share

পিঙ্কি পালঃ দক্ষিণ চব্বিশ পরগণাঃ আজ সকাল থেকে দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার জয়নগরে নির্যাতিতা শিশুর দেহ নিয়ে এলাকাবাসীরা এলাকায় মিছিল করেন। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বিক্ষোভ দেখানো হয়। এমনকি পুলিশের গাড়ি আটকে গাড়়িও ভাঙচুর করা হয়। এদিকে পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট-বৃষ্টি চলার খবর পেয়ে বারুইপুরের এসডিপিও এলাকায় পৌঁছালে উত্তেজিত এলাকাবাসী তাকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান।

পরে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু যখন শেষকৃত্যের কাজ চলছিল, তখন এক জন পুলিশকর্মী অসুস্থ হয়ে পড়লে অন্য পুলিশকর্মীরা তাকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার চেষ্টা করলে ফের পুলিশের গাড়ি আটকানো হয়। এদিন দুপুরবেলা জয়নগরের তৃণমূল সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল নির্যাতিতা শিশুর বাড়িতে গিয়ে দোষীদের চরম শাস্তি দেওয়ার দাবী জানান। এছাড়া বলেন, “এখন যার পড়াশোনা করার কথা ছিল, তার গলায় মালা দিতে হচ্ছে। আমার বলার কিছু নেই। জনপ্রতিনিধি হিসাবে বলতে পারি, যেকোনো প্রয়োজনে আমি ওই পরিবারের পাশে রয়েছি।”


প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতেরবেলা জয়নগরে ন’বছর বয়সী শিশুর দেহ বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে জলাভূমি থেকে উদ্ধার করা হয়। অভিযোগ ওঠে, “শিশুটিকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে।” পরদিন উত্তেজিত এলাকাবাসী পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল। তবে ঘটনার দিন রাতেরবেলা অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হলেও পরিবারের তরফে অভিযোগ ছিল, “প্রথমে পুলিশ শিশু নিখোঁজের অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে চায়নি। বরং ওই শিশুর পরিবারকে থানা থেকে থানায় ঘোরানো হয়েছিল।” এই ঘটনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থানা ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়।


গতকাল ওই শিশুর দেহের ময়নাতদন্ত হয়। পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য দেহ কাঁটাপুকুর মর্গে পাঠিয়েছিল। এদিকে, রবিবারই কলকাতা হাইকোর্টে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়। সেখানে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে। ধর্ষণের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও পুলিশ পকসো আইনের কোনো ধারা যুক্ত করেনি কেন? তা নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ প্রশ্ন তোলেন। এর জেরে রাজ্য সরকারকে আদালতে ভর্ৎসনা করা হয়।


Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
November 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930