নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ওড়িশাঃ আর মাত্র কয়েক ঘন্টার অপেক্ষা। স্থলভাগ থেকে বর্তমানে মেরেকেটে সাড়ে সাতশো কিলোমিটার দূরে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’-র অবস্থান। বাংলা সহ ওড়িশাও ‘দানা’-র আতঙ্কে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। আবহাওয়াবিদদের মতে, “বৃহস্পতিবার রাতেরবেলার মধ্যে এই ঘূর্ণিঝড় বাংলা ও ওড়িশা উপকূলের মধ্যে মাঝামাঝি কোনো জায়গায় আছড়ে পড়তে পারে।”
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে ইতিমধ্যেই পুরীর সমুদ্র রূপ বদলাতে শুরু করেছে। গভীর নিম্নচাপ তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে পরিস্থিতি কি হবে সেটাই এখন ওড়িশা প্রশাসনের সবথেকে বেশী চিন্তার কারণ। ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফে পর্যটকদের জন্য বিশেষ সতর্ক বার্তা জারি করা হয়েছে। পর্যটকদের সমুদ্র নামার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়ে গিয়েছে। সকলকেই সৈকত সংলগ্ন হোটেল ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছে। পর্যটকদের পাশাপাশি চোদ্দটি জেলায় সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, পুরীর সমুদ্র সৈকতের আশপাশে যে সমস্ত স্থানীয় বাসিন্দারা থাকেন তাদেরও অন্যত্র সরানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পাশাপাশি ওডিআরএফ (ওড়িশা ডিজাস্টার র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স) এবং এনডিআরএফ (ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স) তৎপরতা বাড়িয়েছে। অন্যদিকে, আগামী বেশ কয়েকদিন মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই যারা সমুদ্রে মাছ ধরতে চলে গিয়েছেন তাদের সকলকেই দ্রুত ফিরে আসতে বলা হয়েছে।
আর এর জন্য অনবরত মাইকিংও চলছে। সুতরাং, ঝড়ের কারণে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ যতটা কমানো যায় জোরকদমে সেই প্রচেষ্টাই চলছে। একইসাথে যাতে কোনোরকম প্রাণহানি না ঘটে সেদিকে প্রশাসনের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে। এমনকি আপৎকালীন কাজের জন্য বহু সরকারী অফিসেই আধিকারিকদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।