অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’-র অপেক্ষায় বাংলা ও ওড়িশাবাসী আতঙ্কের প্রহর গুনছেন। প্রশাসনিক তৎপরতা সত্ত্বেও রাজ্যবাসী আশঙ্কা কাটিয়ে উঠতে পারছেন না। বিশেষত, যেসব উপকূলের বাসিন্দারা বারবার ঝড়ের ধাক্কায় বিপর্যস্ত হয়েছেন, তাদের জন্য আতঙ্ক আরো বেশী। গতকাল রাতেরবেলা ‘দানা’ তীব্র ঘূর্ণিঝড় বা ‘সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্মে’ পরিণত হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ল্যান্ডফলের পর পূর্ব মেদিনীপুরে বেশী প্রভাব পড়তে পারে।
আবহাওয়া দপ্তরের খবর অনুযায়ী, এই ঘূর্ণিঝড় মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড়ের সাথে স্থলভাগের দূরত্ব ক্রমশ কমছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পুরী থেকে সাগরদ্বীপ অবধি থাকবে। ল্যান্ডফলের সময় প্রতি ঘণ্টায় গতিবেগ সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার হতে পারে। পাশাপাশি, পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুরেও প্রতি ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার থেকে ১২০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইতে পারে। এর সাথে অত্যন্ত ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুরে এক মিটার থেকে দুই মিটার জলোচ্ছ্বাস দেখা যেতে পারে। অর্থাৎ ঝড় শুরু হলেই সমুদ্র ফুঁসতে শুরু করবে সমুদ্র। আর দিঘা এবং মন্দারমনিতে স্বাভাবিকের থেকে দুই মিটার অর্থাৎ প্রায় ছয় ফুটের বেশী উঁচুতে ঢেউ দেখা যেতে পারে। অন্যদিকে, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণাতেও ব্যাপক জলোচ্ছ্বাস দেখা যাবে। স্বাভাবিকের থেকে এক মিটার অর্থাৎ তিন ফুটের বেশী উচ্চতার ঢেউ দেখা যেতে পারে।