নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মুর্শিদাবাদঃ গত শনিবার ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করেছেন। স্কুল, মসজিদ, হাসপাতাল সব মিলিয়ে প্রায় ৩০০ কোটির প্রজেক্টের ঘোষণা করেছেন। আর ইতিমধ্যেই অনুদান ঢুকতে শুরু করেছে। দান বাক্স খোলার পরই গোনা শুরু হয়েছে। শুরুতে হুমায়ুন কবীর টাকা গোনার জায়গা প্রকাশ্যে আনলেও পরে নিরাপত্তার কারণে ওই জায়গা গোপন রেখেছেন।

জানা গেছে, মোট এগারোটি দানবাক্স আনা হয়েছে। সেগুলির হিসেবও শুরু হয়ে গিয়েছে। এছাড়া আরো একটি দানবাক্স শিলান্যাস স্থলেই রাখা আছে। তাতে এখনও নগদ টাকা পড়ছে। বাক্সের টাকা গোনার জন্য ত্রিশ জন ধর্মগুরুকে রাখা হয়েছে। টাকা মেশিনে গোনা হচ্ছে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় বাক্স খুলে গোনা হচ্ছে। আর রাত অবধি গণনার কাজ চলছে। এছাড়া কিউ আর কোডও চালু করা হয়েছে। যার মাধ্যমেও দু’কোটি ত্রিশ লক্ষ টাকা এসেছে।

সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত যে গণনা চলেছে, তাতে সব মিলিয়ে অনুদানের টাকার অঙ্ক দু’ কোটি নব্বই লক্ষের বেশী অর্থাৎ প্রায় তিন কোটি। আগামী চব্বিশ ঘণ্টায় সাড়ে তিন কোটির গণ্ডি ছাড়িয়ে যেতে পারে। হুমায়ুন কবীরের ব্যাঙ্কের লিমিটও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কুড়ি লক্ষ টাকা এন্ট্রি করার জন্য লিমিট করা ছিল। কিন্তু একইদিনে কুড়ি লক্ষ টাকার বেশী ঢোকায় তারা ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে চিফ ম্যানেজারের সাথে যোগাযোগ করে চল্লিশ লক্ষ টাকার লিমিট করা হয়েছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here









