চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ ঢাকুরিয়া ব্রিজের নীচে লাইন দিয়ে একের পর এক ঢাকুরিয়া-হাওড়া রুটের ৩৭ নম্বর রুটের বাস দাঁড়িয়ে রয়েছে। গড়াচ্ছে না চাকা। কিন্তু কেন? কারণটা জানলে একটু অবাক হতে হয়। একুশে জুলাই বাস কোন নেতার সাথে যাবে? এই প্রশ্নেই নেতায়-নেতায় দ্বন্দ্ব। আর তাই বাস পরিষেবা বন্ধ হচ্ছে। আর এর জেরেই সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়।
জানা যাচ্ছে, ৯৩ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মৌসুমী দাস ৩৭ নম্বর বাস স্ট্যান্ডের আইএনটিটিইউসির সভানেত্রী। গতকাল একুশে জুলাইয়ের সমাবেশের জন্য পাঁচটি বাস নেন। রুটের ২৭ টি বাস আসপাশের তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে একুশে জুলাইয়ের সমাবেশে যায়। অভিযোগ তাতেই নাকি মৌসুমির গোঁসা হয়। ২৭টি বাসের কর্মীদের সাসপেন্ড করে দেন তিনি। প্রতিবাদে আজ সকাল থেকে নাকি বাস বন্ধ।
বস্তুত, মোট ৪৮টি বাস রয়েছে এই ৩৭ নম্বর রুটে। সেখানে পঞ্চাশজনকে সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি বাস মালিক সংগঠনের। তবে আইএনটিটিইউসি বলছে তারা কিছু করেনি। বাস মালিকরাই বসিয়ে দিয়েছে। আর এর জেরে সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়েছেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
বাস মালিক সংগঠনের রণজিৎ সরকার “সার্টার বলল পঞ্চাশকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। প্রায় বন্ধই রয়েছে বাস। সকাল সাড়ে আটটার পর বাস যায়নি। শেষ পৌরমাতা আসার পর কথা বলি। এরপর বাস চালু করি। বুধবার থেকে পরিষেবা স্বাভাবিক হবে।” এ দিকে, যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই মৌসুমী দাস বলেন, “ইউনিয়নের দু’একজনের সমস্যা ছিল। আমি গিয়ে কথা বলে মিটিয়েছি। বাস আবার চালু হয়েছে।”