অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ ল কলেজের ঘটনার প্রতিবাদকে ঘিরে কংগ্রেস ও বিজেপি আজ কসবা থানার সামনে কংগ্রেস ছাত্র পরিষদ বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে। বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। অন্যদিকে, আজ পথে নেমেছে বিজেপিও। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে চলছে বিক্ষোভ প্রদর্শন। আটক একাধিক বিজেপি কর্মী।
আজ গড়িয়াহাটের সামনে দুপুর নাগাদ বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। তাঁরা কসবা থানা অভিযানের ডাক দেন। যার জেরে স্তব্ধ হয়ে যায় গড়িয়াহাট মোড়। এ দিকে, পুলিশের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, তাঁরা কোনও রকম বেআইনি জমায়েত করতে দেবেন না। কিন্তু এরপরও দেখা যায়, সুকান্ত মজুমদার, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, অনুপম ভট্টাচার্যরা পুলিশি বাধা উপেক্ষা করেই এগিয়ে যেতে শুরু করেন।
এদিকে, কসবার দিকে যাতে বিজেপির মিছিল এগোতে না পারে সেই কারণে পুলিশ আধিকারিকরা পুরো জায়গা ঘিরে রাখেন। এরপরই বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে তুমুল ধস্তাধস্তি চলে পুলিশের। গার্ডরেল, ব্যারিকেড সরিয়ে ফেলে এগিয়ে যেতে থাকেন বিজেপি কর্মীরা। অপর দিকে, পুরোদমে মিছিল আটকাতে থাকেন পুলিশ কর্মীরা। মহিলা পুলিশ কর্মীরা আটক করেন মহিলা বিজেপি কর্মীদের। কার্যত পুলিশে-পুলিশে ছয়লাপ গড়িয়াহাট চত্বর।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
অপরদিকে, পুলিশের একাধিক কর্তারা সুকান্ত মজুমদারকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। ঘিরে ফেলেন তাঁকে। আটক করা হয়েছে বিজেপি কর্মীদের। বিজেপির রাজ্যসভাপতি বলেন, “এখানে ১৪৪ ধারা নেই তাহলে আটকাচ্ছেন কেন?” পাল্টা এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “অনুমতি নেই। ব্যারিকেড ভেঙেছেন। তাই গ্রেফতার করব।” আবার সুকান্ত বলেন, “গণতন্ত্রের অধিকার রয়েছে বিক্ষোভ দেখানোর। থানার সামনে গেলে গ্রেফতার করুন। রাজ্যে একের পর এক ধর্ষণ হচ্ছে, তখন তো আটকাতে পারছেন না। আর আমরা বিক্ষোভ করলেই দোষ?”
আজ পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে সুকান্ত সাংবাদিকদের বলেন, “আমি যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মানেই না। আমার কথা ছাড়ুন, এরা তো কেন্দ্রীয় সরকারকেই মানে না। ইউনূসের মন্ত্রী হলে বেশি কদর পাবে এখানে।” এ দিকে, বিজেপি কর্মীরা যাতে জমায়েত করতে না পারেন তার জন্য কার্যত অ্যাকশন মোডে দেখা যায় কলকাতা পুলিশকে। গলিতে ঢুকে পুলিশ তল্লাশি চালায় কোনও জমায়েত আছে কি না দেখার জন্য।”
Sponsored Ads
Display Your Ads Here