নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মেদিনীপুরঃ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় বৈঠকে স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, এবারের লোকসভা ভোটে ঘাটাল থেকে দেবকে (দীপক অধিকারী) প্রার্থী করতে চান। আর দেবও যে ভোটে লড়তে প্রস্তুত, সেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কিন্তু মাসখানেকের মধ্যেই আজ অভিনেতা তথা ঘাটালের সাংসদ লোকসভা নির্বাচনের ঠিক প্রাক্কালে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদ সহ ঘাটাল রবীন্দ্র শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সভাপতি ও বীরসিংহ উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকেও থেকে ইস্তফা দিলেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘাটালে দেবকে প্রার্থী করে চমক দিয়েছিলেন। প্রথম বার নির্বাচনে দাঁড়িয়ে বামফ্রন্টের সিপিআই প্রার্থী সন্তোষ রানাকে পরাজিত করে সাংসদ হন। আবার ২০১৯ সালে প্রাক্তন আইপিএস তথা বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষকে হারিয়ে দ্বিতীয় বার জয়ী হন। তবে মাঝেমধ্যেই ঘাটাল থেকে দেবের সাথে জেলা নেতৃত্বের বিবাদের খবর উঠে আসে। তাই এবার লোকসভা ভোটের অনেক আগেই ফের নির্বাচনে না দাঁড়ানোর ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে যেভাবে বিরোধী গোষ্ঠীর নেতাদের প্রশ্নের মুখে ফেলেছেন, তাতে ফের নের ঘাটাল লোকসভায় তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে তাঁকে দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরী হয়েছিল। যদিও আচমকা দেবের এভাবে তিনটি সরকারী কমিটি থেকে পদত্যাগকে ঘিরে নির্বাচনে না দাঁড়ানো নিয়ে ইতিমধ্যে জল্পনা শুরু হয়েছে। বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট এই ঘটনা প্রসঙ্গে জানান, ‘‘এটা তো হওয়ারই ছিল। কারণ এতগুলো পদ নিয়ে বসে আছেন। চালাতে পারছেন না।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
এটা একটা কারণ হতে পারে। অন্য একটি কারণ, দীর্ঘদিন পর হয়তো বুঝতে পেরেছেন, তৃণমূল মানে চোর, আর চোর মানেই তৃণমূল। সে জায়গায় নিজেকে গুঁটিয়ে নিতে চাইছেন। লোকসভা নির্বাচনে হয়তো আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। এটা হয়তো হতে পারে, বর্তমানে তৃণমূলকে হয়তো ঘৃণা করতে শুরু করেছেন। এক কথায় বলা যায়, একজন অপদার্থ দায়িত্ব নিয়ে সামলাতে পারছেন না। শেষ সময় বুঝতে পারছেন, বিজেপি আসছে, কৈফিয়ত দিতে হবে। বিজেপির ভয়ে আজ পদত্যাগ করছে।’’
Sponsored Ads
Display Your Ads Here