নিজস্ব সংবাদদাতাঃ হুগলীঃ দীর্ঘ দিন থেকে হুগলীর আরামবাগ মহকুমার বিভিন্ন নদ-নদী ও খালে বিষ প্রয়োগ করে মাছ ধরার অভিযোগ উঠছে। বর্ষার কয়েক মাস এই অভিযোগ সে ভাবে শোনা না গেলেও পুজো পর থেকে ফের ওই অভিযোগ সামনে আসছে।
আরামবাগের চাঁদুর সংলগ্ন দ্বারকেশ্বর নদের প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে মরা মাছ ভাসতে দেখে স্থানীয় পরিবেশপ্রেমীরা সরব হলেন। বেশ কিছু পরিবেশকর্মীদের মধ্যে অভিযোগ, ‘‘ আইন থাকা সত্ত্বেও মৎস্য দপ্তর নদ-নদীতে বিষ প্রয়োগ করে মাছ ধরা নিয়ে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় মাছ সহ নানা জলজ জীব বিপন্ন হচ্ছে। এছাড়া জল দূষিত হয়ে জনস্বাস্থ্য বিপন্ন হচ্ছে।”
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
জেলা মৎস্য দপ্তরের একটি সূত্রের খবর, এখানে বিষ দিয়ে মাছ ধরার প্রবণতা রুখতে প্রচুর লোকবল দরকার। তাই লোকবল না থাকায় যথাযথ নজরদারী করা সম্ভব হচ্ছে না। এই অবস্থায় সচেতনতা বৃদ্ধি এবং স্থানীয় প্রশাসন ও মানুষের সহযোগীতা ছাড়া এটা আটকানো অসম্ভব। তবে জলাশয়ে বিষ বা ওই জাতীয় কিছু ব্যবহার করলে ছ’মাস জেল বা দু’হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে অথবা জেল এবং জরিমানা দু’টি শাস্তি একসাথেও হতে পারে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
জেলার সহ মৎস্য অধিকর্তা সুব্রত সরকার বলেন, ‘‘আইন অনুযায়ী জলাশয়ে বিষ দিয়ে মাছ ধরা নিষিদ্ধ। আইনবিরুদ্ধ এই কাজের নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বিষ প্রয়োগের ক্ষয়-ক্ষতির দিকগুলি জানিয়ে সারাবছর সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ চলে।” উল্লেখ্য, শুধু দ্বারকেশ্বর বা চাঁদুরেই নয়, মহকুমায় দামোদর নদ, মুণ্ডেশ্বরী নদী ও খাল-বিলগুলিতেও একই ভাবে মাছ ধরার ঘটনা ঘটছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here