মিনাক্ষী দাসঃ মানুষের সৌন্দর্য চুলে ধরা পড়ে। আর এই চুল নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সমস্যা হয়ে থাকে। রুক্ষ-শুষ্ক চুলের পাশাপাশি অনেকে আবার খুশকির সমস্যায়ও ভোগেন। বিশেষত শীতকালে খুশকির সমস্যা মারাত্মক হয়ে ওঠে। অনেক শ্যাম্পু, কন্ডিশনার সহ দামী তেল ব্যবহার করেও কিছুতেই এই সমস্যার সমাধানের কুল কিনারা পাওয়া যায় না।
কিন্তু পর পর কয়েক সপ্তাহ এই ঘরোয়া টোটকাটি ব্যবহার করলে খুব সহজেই এই সমস্যার সমাধান পাওয়া যাবে।
টক দইঃ খুশকির কারণে মাথার ত্বকও খসখসে হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে টক দইয়ের প্যাক মাথায় মাখলে মাথার ত্বকের খুশকি দূর হয়ে যায়। ফলে চুলের গোড়া শক্ত হবে ও শুষ্ক চুলের সমস্যাও দূর হবে।
তেঁতুলঃ পুরনো তেঁতুল জলে গুলে সেই তেঁতুল গোলা জল চুলের গোড়ায় ভালো করে লাগাতে হবে। এরপর ১০ থেকে ১২ মিনিট অপেক্ষা করে চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে অন্তত দুই দিন ব্যবহার করতে হবে।
পেঁয়াজের রসঃ পেঁয়াজ মিহি করে বেটে নিয়ে রস ছেঁকে নিতে হবে। পেঁয়াজের রস চুলের গোড়ায় ভালো করে ঘষে ঘষে লাগাতে হবে। তারপর ২০ থেকে ২৫ মিনিট পরে চুল ভালো ভাবে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে কমপক্ষে দুবার মাথায় পেঁয়াজের রস লাগাতে হবে।
ডিমঃ একটি ডিমের সাদা অংশ এবং ৪ টেবিল চামচ টক দই খুব ভালোভাবে ফেটিয়ে নিয়ে তাতে ১ টেবিল চামচ পাতিলেবুর রস মেশাতে হবে। মিশ্রণটি মাথার ত্বকসহ পুরো চুলে লাগাতে হবে। তারপর ২০ মিনিট পর চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে কমপক্ষে একদিন এটি ব্যবহার করা উচিত।
নারকেল তেল ও পাতি লেবুর মিশ্রণঃ ২ থেকে ৩ চামচের মতো নারকেল তেল গরম করতে হবে। এরপর এতে ২ চামচ পাতি লেবুর রস ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। আর ওই মিশ্রণকে মাথায় এবং চুলের গোড়ায় ভালোভাবে ম্যাসাজ করতে হবে। এরপর ১ ঘণ্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে।
মেথিঃ মেথি চুলের খুবই উপকারী। নারকেল তেল গরম করে তাতে মেথি গুঁড়া মিশিয়ে মিশ্রণটি পুরো চুলে লাগিয়ে রাখতে হবে। এরপর ১ ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এছাড়া সারা রাত মেথি ভিজিয়ে রেখে এটি থেঁতো করে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে রাখতে হবে। ৩০ মিনিট পর চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে ৩ দিন এটি ব্যবহার করতে হবে।
তবে এতেও যদি এই সমস্যা থেকে মুক্তি না পাওয়া যায় তাহলে একবার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়াই ভালো। তাহলে শুষ্ক চুল ও মাথায় ত্বকের সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যাবে।