অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ আজ রাষ্ট্রপতি ভবন সি ভি আনন্দ বোসকেব৷ পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী নতুন রাজ্যপাল হিসেবে ঘোষণা করেছে। সি ভি আনন্দ বোস যেদিন থেকে দায়িত্ব নেবেন সেই দিন থেকেই এই নির্দেশ কার্যকর করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
সি ভি আনন্দের পদবী ‘বোস’ হলেও তিনি বাঙালী নন। দক্ষিণ ভারতের কেরলে বা তামিলনাড়ুতে বাংলার সুভাষচন্দ্র বসুর (বোস) নামে নাম রাখার রেওয়াজ আছে। সেই কারণে পদবী বোস বলেই অনেকের ধারণা। ১৯৫১ সালের ২ রা জানুয়ারী প্রাক্তন আইএএস সি ভি আনন্দ বোসের কেরলের কোট্টায়ামে জন্ম হয়েছিল।
কেরল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র হিসেবে নিজের শিক্ষাজীবনে একশোটিরও বেশী পদক অর্জন করেছেন। যার মধ্যে ১৫ টি স্বর্ণ পদক। সুবক্তা হিসাবেও নাম ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন পর পর তিন বছর সেরা ব্যক্তির স্বীকৃতি ছিল পেয়েছেন। এমনকি মুসৌরির লালবাহাদুর শাস্ত্রী আইএএস ট্রেনিং অ্যাকাডেমিতেও বিতর্ক সভায় প্রথম হয়েছিলেন।
এছাড়া ইংরেজি, হিন্দি ও মালয়ালমে ৪০ টি বই লিখেছেন। এর মধ্যে উপন্যাস, কবিতার বই এবং ছোটোগল্প সংগ্রহ রয়েছে। ২৯ টি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করেছেন। তাছাড়া দীর্ঘ দিন ধরেই সি ভি আনন্দ বোস প্রশাসনিক কাজে জড়িত। মেঘালয় সরকারের উপদেষ্টা পদে ছিলেন। এছাড়া কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর সচীব হিসাবে কাজ করেছেন। আর কেরল সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান সচীব হিসাবে দায়িত্ব সামলেছেন।
![- Sponsored -](https://indianprimetime.in/wp-content/uploads/2021/02/advertisehere.png)
- Sponsored -
কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘ম্যান অফ আইডিয়া’ হিসাবেই পরিচিত। সি ভি আনন্দ বোসের ভাবনা কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পে কাজে লাগানো হয়েছে। বিশেষ করে দেশের সবার জন্য পাকা বাড়ির ভাবনাটি তাঁর কাছ থেকেই নেওয়া হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় উপরাষ্ট্রপতি হওয়ার পর লা গণেশন রাজ্যের অস্থায়ী রাজ্যপাল হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। কিন্তু লা গণেশনকে নিয়ে বিজেপির অন্দরে অসন্তোষ ছিল। সম্প্রতি বিজেপির পরিষদীয় দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারীও তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন।
রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে রাজ্য সরকারের মন্ত্রী অখিল গিরির মন্তব্য প্রসঙ্গে লা গণেশনের সাথে দেখাও করতে গিয়েছিলেন। তবে বার বার সময় চেয়েও লা গণেশন তা দেননি বলেও অভিযোগ করেন। রাজভবনে গিয়েও দেখা না পেয়ে সচীবের কাছে দিয়ে আসেন।
রাজভবন থেকে বেরিয়ে রাজ্যের অস্থায়ী রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। এমনকি বিজেপির নেত্রী অগ্নিমিত্রা পালও অস্থায়ী রাজ্যপালের সাথে প্রাক্তন রাজ্যপাল ধনখড়ের তুলনা টেনে বলেছিলেন, ‘‘ধনখড় নিরপেক্ষ ছিলেন। কিন্তু এই রাজ্যপালের কাছে সময় পেতে সমস্যা হয়।’’