নিজস্ব সংবাদদাতাঃ উত্তরপ্রদেশঃ ২০০৬ সালে ৭ ই মার্চ উত্তরপ্রদেশের বারাণসী একই দিনে পর পর বিস্ফোরণের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত ওলিউল্লাহ খানকে গাজিয়াবাদের আদালত মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়া অন্য একটি মামলায় ওলিউল্লাহকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বারাণসীর সঙ্কটমোচন মন্দির ও ক্যান্টনমেন্ট রেল স্টেশন এলাকায় ঘটা এই বিস্ফোরণে ৩০ জনের মৃত্যু হয় এবং শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। আর দশাশ্বমেধ ঘাট থেকে একটি প্রসার কুকার বোমা উদ্ধার হয়েছিল। এছাড়া গৌদালিয়া এলাকায় যে তৃতীয় বোমাটি রাখা ছিল তা বিস্ফোরণের আগে নিষ্ক্রিয় করা হয়।
এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০০৬ সালের ৫ ই এপ্রিল প্রয়াগরাজ জেলার ফুলপুর গ্রাম থেকে পুলিশ ওলিউল্লাহকে গ্রেফতার করেন। ওলিউল্লাহর বিরুদ্ধে খুন, খুনের ষড়যন্ত্র, বিস্ফোরণ সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এলাহাবাদ হাইকোর্ট তার কোনো আইনজীবী আদালতে সওয়াল করতে চায়নি।
হাইকোর্টের নির্দেশে মামলাটি গাজিয়াবাদ আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এরপরই মামলাটি গাজিয়াবাদ সেশন কোর্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। প্রায় ১৬ বছরের শুনানি পর্বের পরে গত শনিবার গাজিয়াবাদ আদালত এই বিস্ফোরণ মামলায় ওয়ালিউল্লাহকে দোষী সাব্যস্ত করে।
আজ গাজিয়াবাদ সেশন কোর্টের বিচারক জিতেন্দ্র কুমার সিনহা দুইটি মামলায় শাস্তি ঘোষণা করেন। তবে এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঝাঁসি এলাকার শামীম, জাকারিয়া ও মুস্তাকিম নামে যে তিন ব্যক্তি সহ বেশ কয়েক জনের নাম উঠে এসেছিল এখনো অবধি সেই ধৃতদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।