চয়ন রায়ঃ সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের র্যালির আগেও প্রায় একইভাবে বিতর্কে জড়িয়েছিল বিজেপি। বিশ্বভারতীর গেটের মুখে লাগানো হয়েছিল অমিত শাহ ও অনুপম হাজরার ছবি দেওয়া পোস্টার আর সেই সাথে পোস্টারে অমিত শাহের ছবির নীচে কবিগুরুর ছবি দেওয়ায় বিজেপির বিরুদ্ধে অবমাননার অভিযোগ উঠেছিল।
আর আজ ফের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাসনা গৃহের সামনে ও তার সংলগ্ন রাস্তায় টাঙানো হয়েছে অসংখ্য তৃণমূলের দলীয় পতাকা। এছাড়া ক্যাম্পাস লাগোয়া লজ রোডেও প্রচুর ঘাসফুলের প্রতীক আছে। যার ফলে স্বাভাবিক ভাবেই বিশ্বভারতীর মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক দলের পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
তবে অতি সম্প্রতি তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল জানিয়ে দিয়েছিলেন, “বিশ্বভারতীর উপাচার্য যদি পাগলামি না ছাড়েন, তাহলে এবার বিশ্বভারতীর ভিতরে গিয়ে দলীয় ফ্ল্যাগ লাগিয়ে দেব”। আর আজ বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসের মধ্যে ঠিক সেই দৃশ্যই ধরা পড়ল। তবে বিশ্বভারতীর প্রাচীর দেওয়া নিয়ে তৃণমূল যেভাবে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছিল তাতে আজকের এই ছবি দেখে হতবাক রাজ্যবাসী। যদিও এই বিষয়ে এখনো কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি তৃণমূলের পক্ষ থেকে।
তবে এই ঘটনাকে যথেষ্ট নিন্দনীয় বলে মনে করেছেন ঠাকুর পরিবারের সদস্য সুপ্রিয় ঠাকুর। তিনি বলেছেন, “কোনও রাজনৈতিক দলের বিশ্বভারতীর মধ্যে প্রবেশ করার কথা নয়। এটা একসময় আমরা মেনে চলতাম। কিন্তু এখন সবই হচ্ছে হয় তৃণমূল নয় বিজেপি। একে আটকাবে কে! সব কিছুতেই রাজনীতি চলছে। এটা হওয়া উচিত না। কিন্তু তবুও হচ্ছে। ভালো না লাগলেও একে আটকানোর ক্ষমতা আমাদের নেই”।