ব্যুরো নিউজঃ বিশ্বে প্রথম করোনা সংক্রমণ শুরু হয় চিনের উহান থেকে। তারপর থেকে পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে যায়। আর তার সবথেকে বেশি প্রভাব পড়েছিল বিমান পরিষেবার ক্ষেত্রে। গত মার্চ মাস থেকেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল। এবার করোনা সংক্রমণ আটকাতে বিমানকর্মীদের জন্য চিনের বিমানমন্ত্রকের পক্ষ থেকে ৩৮ পৃষ্ঠার নতুন নির্দেশিকা জারি করল চিন। বিমানমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিমানকর্মীদের শৌচাগার ব্যবহার না করে ডায়াপার পরতে হবে। যেসব দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি সেখান থেকে যাতায়াতের জন্য চার্টার্ড বিমান নিয়ে যাওয়ার কথাও বলেছেন বিমানমন্ত্রক। যেখানে প্রতি ১০ লাখ জনসংখ্যায় ৫০০ জন অথবা তার বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন সাধারণত সেইসব দেশকে বেশি করোনা আক্রান্ত দেশ রূপে গণ্য করা হয়েছে। এই নির্দেশিকা অনুসারে বিমানকর্মীদের জন্য ডায়াপার পিপিই কিট বা পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইক্যুইপমেন্টের মধ্যে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে যে ডায়াপার নষ্ট করা যায় সেগুলিই পরতে হবে কর্মীদের।
এছাড়াও বিমানকর্মীদের গগলস, ডিসপোজেবল ক্যাপস, ডিসপোজেবল শু কভারস, মেডিক্যাল প্রোটেক্টিভ মাস্ক, ডিসপোজেবল প্রোটেক্টিভ ক্লথস, ডবল লেয়ার ডিসপোজেবল রাবার গ্লাভস পরতে হবে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereতবে এই নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে পাইলটদের ক্ষেত্রে বাকি সব কিছু পরলেও তাঁদের অবশ্য ডায়াপার পরার দরকার নেই। এছাড়া বিমানের মধ্যেই চারটি জোন আলাদা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেগুলি হলো ক্লিন এরিয়া, বাফার জোন, প্যাসেঞ্জার সিটিং এরিয়া ও কোয়ারেন্টাইন এরিয়া এই চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে। বিমানের শেষ তিনটি সারি কোয়ারেন্টাইন এরিয়া রূপে গণ্য করা হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ও বন্দে ভারত মিশনের আওতায় ভারত থেকে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল করছে। প্রথম চিনে সংক্রমণ ছড়ানোয় অনেক দেশই চিনের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিল তবে বর্তমানে অন্যান্য দেশের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা কিছুটা হলেও স্বাভাবিক হয়েছে।