নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বাঁকুড়াঃ রাজ্যে সরকার বারংবার উন্নয়নের দাবী করলেও বাঁকুড়ার সিমলাপাল ব্লকের আকড়ো, সাঁইড়ি, পুইপাল, খামারডাঙ্গা সহ বিভিন্ন গ্রামের বেহাল অবস্থা। উন্নয়ন যেন তাদের বিপরীত পথে হেঁটেছে। এখানকার পড়ুয়ারা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে নিত্যদিন পায়ে হেঁটে শিলাবতী নদী পারাপার করে।
এই সিমলাপাল ব্লকের মাঝ বরাবর দিয়ে শিলাবতী নদী বয়ে গিয়েছে। নদীর এক পারে আকড়ো, সাঁইড়ি, পুইপাল ও খামারডাঙ্গা সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম রয়েছে। আর অন্য পারে লায়েকপাড়া আর এস বিদ্যামন্দির রয়েছে। একসময় এলাকায় অন্য কোনো উচ্চ বিদ্যালয় না থাকায় পড়ুয়াদের প্রাথমিকের বেড়া ডিঙোতেই লায়েকপাড়া আর এস বিদ্যামন্দিরে যেতে হত। কিন্তু দশকের পর দশক পেরিয়ে গেলেও গ্রামের পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হয়নি।
কয়েকবছর আগে পড়ুয়াদের সুবিধার জন্য বাঁশিপুর এলাকায় উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়। তবে ওই বিদ্যালয়ে পরিকাঠামো এবং যথেষ্ট শিক্ষক না থাকায় অভিভাবকরা পড়ুয়াদের ওই বিদ্যালয়ে পাঠানো বন্ধ করে দেন। অগত্যা বাধ্য হয়ে পড়ুয়াদের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে নদী পেরিয়ে বিদ্যালয় যেতে হয়। বছরের অন্যান্য সময়ে নদীতে সেভাবে জল না থাকায় তেমন কোনো সমস্যা না হলেও বর্ষার কয়েকমাস নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেলেই পড়ুয়ারা চরম সমস্যায় পড়ে। প্রায় তিন মাস বিদ্যালয়ে যাতায়াত করা বন্ধ থাকে।
বর্ষায় সময় বিদ্যালয়ে পরীক্ষা থাকলে পড়ুয়াদের গাড়ি ভাড়া করে প্রায় পনেরো কিলোমিটার ঘুরপথে বিদ্যালয়ে যেতে হয়। ফলে এই সমস্যার সমাধান পেতে পড়ুয়া থেকে অভিভাবক সকলে পাকা সেতু না হোক নদীর উপর অন্তত অস্থায়ী কাঠের সেতু নির্মাণের দাবী তুলেছে। এদিকে, তালডাংরার তৃণমূল বিধায়ক ফাল্গুনী সিংহবাবু এই প্রসঙ্গে জানান, “এই সমস্যা আছে। মুশকিল হলো এই সমস্যার সমাধানের জন্য কাছেই একটি বিদ্যালয় তৈরী করেছি। কিন্তু অভিভাবকরা ওই বিদ্যালয়ে বাচ্চাদের নিয়ে যেতে চান না।”