অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ ২৬ হাজার চাকরী বাতিলেরই পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে তলব করলেন। ব্রাত্য বসু সহ শিক্ষাদপ্তরের বিশেষ আধিকারিকদের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠকে বসবেন। ইতিমধ্যেই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু নবান্নে পৌঁছে গিয়েছেন। দুপুরবেলা ৩ টে বৈঠক। শিক্ষা আধিকারিকদের একাংশ বলছেন, “সুপ্রিম কোর্ট চাকরী বাতিলের যে নির্দেশ দিয়েছে, তা বাংলার ইতিহাসে এই প্রথম।”

নবান্ন সূত্রের খবর, ২৫ হাজার ৭৫২ জনের মধ্যে যোগ্য কারা? তাদের চাকরী বাঁচানোর ক্ষেত্রে কোনো কৌশল বার করা যায় কিনা, সে নিয়ে আলোচনা হতে পারে। যারা চাকরী হারালেন, তাদের নিয়ে কি হবে, তা নিয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। ইতিমধ্যেই শিক্ষাসচীব বিনোদ কুমার জানান, “আমরা দ্রুত বসছি সকলে, কোর্টের কি অর্ডার রয়েছে, সেটা গোটাটা ভালো করে দেখা হবে। এরপর পরবর্তী কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে, তার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হবে।” এছাড়া ‘ফ্রেশ সিকেকশন প্রসেস’ নিয়ে বলেন, “এটা আমার পক্ষে এখনই বলাটা কঠিন। টিমের সাথে বসতে হবে। নির্দেশনামা ভালো করে পড়তে হবে। তারপরই বলতে পারব।”
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereসুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, কারচুপি করা হয়েছে। কোনোভাবেই যোগ্য অযোগ্য বাছাই করা সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু সম্পূর্ণ নতুন একটি সিলেকশন প্রসেস হবে, তা তিন মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ করতে হবে। এই তিন মাসের মধ্যে যারা বৈধ, তারা যে বিভাগে কাজ করতেন, সেখানে তারা চাকরী চালিয়ে যাবেন। তারা তিন মাস ধরে বেতনও পাবেন। তবে যারা যারা সাদা ওএমআরশিট জমা দিয়েছিলেন, ইতিমধ্যেই তাদের নামের তালিকা তৈরী করা রয়েছে। তারা ফ্রেশ সিলেকশনে বসে পারবেন না।