চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ পর পর দু’বছর করোনা অতিমারীর কারণে ২১ শে জুলাই শহিদ সমাবেশ ভার্চুয়ালি হলেও চলতি বছর শহিদ দিবস উপলক্ষে শহিদ সমাবেশে তৃণমূলের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের ভিড় উপচে পড়েছে। তৃণমূলের শীর্ষ স্তরের নেতা-নেত্রীরাও পৌঁছে গিয়েছেন।
সমাবেশ ম্নচে উঠে মুখ্যন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃষ্টির মধ্যেই আপামোর জনগণকে দেখে প্রথমেই জানান, ‘‘চব্বিশে মানুষের বৃষ্টিতে ভেসে চলে যাবে বিজেপি। বৃষ্টি দেখে বিজেপি-সিপিএম হেসেছিল। ভেবেছিল তৃণমূলের মিটিংই শেষ হয়ে গেল! কিন্তু এই তৃণমূল সরকার থাকলে ভাতা, বিনামূল্যে রেশন সব পাবেন।
ইডি-সিবিআই বিজেপির মেরুদণ্ড। ওসব দেখিয়ে ভয় দেখানো যাবে না। আমি ওসব ভয় পাই না। যারা ডরপোক, তারা ভয় পায়। দেউচা পাঁচামি, তাজপুর বন্দর, নতুন সিলিকন ভ্যালি অর্থাৎ বাংলায় প্রচুর কর্মসংস্থান তৈরী হচ্ছে। আগামী ৫০ বছর রাজ্যের কয়লা নিয়ে কোনো চিন্তা করতে হবে না।
আর কাদের বার্থ সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন? সেই ফাইলটা একটু বার করব? কি বলেন বিকাশবাবু! তবে বদলা নয়, বদল চাই। তাই কিছু করিনি। ছেলেরা পার্টি করবে, বউরা চাকরী করবে বলে বাম আমলে শিক্ষকতার চাকরী দেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার মুড়ি-চিড়েতেও জিএসটি ধার্য করেছে। ফলে মুড়ি হাতেই এর প্রতিবাদ করলেন।

- Sponsored -
বিজেপি নেতা-নেত্রীদের কাছে প্রশ্ন করেন, ‘‘বিজেপির নেতারা মুড়ি খাবেন না কি?’’ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হলেও জিএসটি দিতে হচ্ছে। ‘‘আমার প্রশ্ন, মারা যেতে জিএসটি কত দিতে হবে!’’ ইডি-সিবিআই এলে মুড়ি খেতে দেবেন। সঙ্গে একটু তেল দেবেন। বলে দেবেন, আপনাকে এর জিএসটি নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।
বাংলাকে একশো দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না। গত সাত মাস ধরে গরীব মানুষ কাজ করে টাকা পাচ্ছেন না। আরো কত টাকা বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। কেন আমার হকের টাকা বন্ধ করে দিলেন? ভোটে হেরেছেন বলে ভাতে মারার চেষ্টা করবেন? যদি বিজেপি সরকার ১০০ দিনের কাজের টাকা না দেয় তাহলে দিল্লি গিয়ে আপনাকে ঘেরাও করব।
তৃণমূলের নামে কেউ টাকা তুললে সোজা থানায় গিয়ে জানান। তৃণমূল শৃঙ্খলাবদ্ধ দল। আমি চাই, কর্মীরা সাইকেল নিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরবেন। বিধায়করা রিকশা নিয়ে জনসংযোগ করবেন। আমি চাই ভারতে একটা আদর্শ রাজনৈতিক দল থাকুক, তার নাম তৃণমূল।
চব্বিশে বিজেপির কারাগার ভাঙো, চব্বিশে মানুষের সরকার আনো। দেশ ছেড়ে হাজারের উপর শিল্পপতি চলে গিয়েছেন। এটাই বিজেপির উন্নয়নের মডেল! লোকসভায় একটিও আসন বিজেপিকে জিততে দেওয়া যাবে না।’’ আর সবশেষে ‘‘জয় বাংলা দিচ্ছে ডাক, জয় ভারত বেঁচে থাক’’ -এই শ্লোগান গিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের বক্তব্য শেষ করলেন।