অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ আবার যাদবপুরকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ খুললেন। একদিকে যখন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার দায় বিরোধীরা তৃণমূল সরকার ও প্রশাসনের দিকে চাপাচ্ছে, তখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিপিএমকে আক্রমণ করছেন।
আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতাজি ইন্ডোরে একটি সভা থেকে জানান, ‘‘আগে যাদবপুর নিয়ে গর্ববোধ করতাম। অথচ সিপিএমের ইউনিয়ন একটা ছেলেকে মেরে ফেলল। এরা জীবনে বদলাবে না। বছরের পর বছর রক্ত নিয়ে খেলেও শান্তি নেই।’’ এর আগেও যাদবপুরকাণ্ড নিয়ে বলতে গিয়ে বলেন, ‘‘যাদবপুরের ছেলেটিকে অত্যাচার করতে করতে মেরেছে।
ছেলেটি একটি মাদুলি পরেছিল। ওটাও খোলানো হয়েছে। মানে ওদের জমিদারি! ওখানে পুলিশ ঢুকতে দেয় না। সিসিটিভি লাগাতে দেয় না। ছেলে-মেয়েদের উপরে র্যাগিং হয়। ওর বাবার সাথে কথা বলেছি। ওর বাবা বলেছেন, ‘‘বিচার চান। আর ও (মৃত পড়ুয়া স্বপ্নদীপ) খুব কাঁদত। বলত, খুব অত্যাচার হচ্ছে।’’ আমি যাব ঠিক করেছিলাম। কিন্তু ওটা আতঙ্কপুর হয়ে গেছে।
আমি এতে মর্মাহত এবং দুঃখিত। আমি যাদবপুরে যেতে চাই না। কারণ ওখানে পড়াশোনা ভালো হতে পারে। শুধু পড়াশোনায় ভালো হলে মানুষ হয় না। যদি বিবেক না থাকে।” পাশাপাশি এদিন ‘অল ইন্ডিয়া ইমাম মোয়াজ্জেম স্যোশাল ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের’ উদ্যোগে রাজ্যের ছোটো-বড়ো ইমাম সংগঠনগুলিকে একত্রিত করে একটি সমাবেশ করেন।
সেখান থেকে ইমাম, মোয়াজ্জেম ও পুরোহিতদের ৫০০ টাকা অতিরিক্ত ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। আগে যেখানে ইমামরা মাসে ২ হাজার ৫০০ টাকা করে ভাতা পেতেন। যা বেড়ে তিন হাজার টাকা হয়েছে। আর মোয়াজ্জেমরা মাসে ১ হাজার টাকা করে ভাতা পেতেন। সেটা বৃদ্ধি পেয়ে এবার থেকে দেড় হাজার টাকা পাবেন।
সংখ্যালঘু উন্নয়ন প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ‘‘সংখ্যালঘু স্কলারশিপে বাংলা এক নম্বর। গত বারো বছরে তিন কোটি ৬৩ লক্ষ সংখ্যালঘু স্কলারশিপ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার ওবিসিদের টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ এই রাজ্যে ৯৭ শতাংশ সংখ্যালঘু ওবিসির মধ্যে পড়েন। এছাড়া শিক্ষাশ্রী, কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী কোনো প্রকল্পেই হিন্দু-মুসলিমে কোনো ভেদাভেদ নেই।’’