অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ গতকাল রাত থেকেই কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে চলছিল ঝোড়ো হাওয়ার দাপট। ৬২ কিলোমিটার বেগে আলিপুরের ওপর দিয়ে ঝড় বয়ে যায়। কিছুক্ষণ কলকাতা সহ সংলগ্ন বেশ কয়েকটি জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়। আর ভোরের দিকে প্রচণ্ড বজ্র-বিদ্যুৎ সহ কয়েকঘণ্টা একটানা বৃষ্টি হয়েছিল। ফলে তীব্র গরমের দাবদাহ থেকে কিছুটা স্বস্তি পেল মানুষ।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রের জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার সারাদিন বৃষ্টি চলবে। কোথাও কোথাও বজ্র-বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিও চলবে। উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের দশটি জেলা যথা- মালদা, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, দার্জিলিং, কালিম্পং সহ মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, উত্তর চব্বিশ পরগণা, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা, কলকাতা, পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে। দক্ষিণবঙ্গে কালবৈশাখীর যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। প্রায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
এছাড়া আগামী ৪৮ ঘণ্টাও উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গে কালবৈশাখী ও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ৭০ থেকে ১০০ মিলিমিটার উত্তরবঙ্গের মালদা, উত্তর দিনাজপুর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২.৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। অর্থাত্ স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রী নীচে। কলকাতার বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৪২ থেকে ৯৩ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মোট বৃষ্টির পরিমাণ ১৪.৭ মিলিমিটার।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereপশ্চিম উত্তরপ্রদেশের একটি ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘূর্ণাবর্ত থেকে একটি অক্ষরেখা আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত। অক্ষরেখা পূর্ব উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ও উত্তরবঙ্গের উপর দিয়ে অসম পর্যন্ত বিস্তৃত। এই অক্ষরেখা এবং ঘূর্ণাবর্তের টানেই রাজ্যে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে। এর ফলস্বরূপ ঝড়-বৃষ্টির সৃষ্টি হয়েছে।
এমনকি বিহার, উড়িষ্যা ঝাড়খন্ড সহ পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি যেমন আসাম, মেঘালয়, মণিপু্র, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড ও ত্রিপুরাতেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।