গোরু পাচার কাণ্ডে CBI এর নজর এবার বর্ধমানের হাটের দিকে

Share

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বর্ধমানঃ গোরু পাচার মামলার তদন্তে নেমে সিবিআইয়ের হাতে বীরভূমের নানা পশুর হাটের তথ্য উঠে এসেছে। আর সেই সূত্রে এবার পূর্ব বর্ধমানের কয়েকটি হাটের দিকেও নজর পড়ছে। এই জেলায় দু’টি ছোটো ও তিনটি বড়ো পশুর হাট আছে। এর মধ্যে তিনটি কেতুগ্রাম, গুসকরা এবং মঙ্গলকোটে। অনুব্রত মণ্ডলই এই এলাকাগুলির দায়িত্বে ছিল।

স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, জেলার মধ্যে গলসির খেতুড়া ও গুসকরায় ছোটো দু’টি হাট এবং মঙ্গলকোটের কৈচর, কেতুগ্রামের পাচুন্দি ও রায়নার সেহেরা এলাকায় বড়ো পশুর হাট রয়েছে। মূলত বড়ো তিনটি হাট থেকে গোরু পাচার হয়ে থাকে। পাইকারেরা বীরভূমের ইলামবাজার হয়ে মুর্শিদাবাদ অবধি গোরু নিয়ে যায়। বড়ঞা, সালার, সাগরদিঘি হয়ে এই পাচার হত। 


আবার কাটোয়ার কাছে গঙ্গা দিয়েও নদীয়ায় পৌঁছাত। এছাড়া পূর্ব বর্ধমান থেকে নদীয়া হয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে গোরু পাচার হত। পূর্ব বর্ধমানের হাটগুলিতে বাঁকুড়া সহ জঙ্গলমহল থেকেও গোরু আসে। কৈচরে হাটে ১৪ থেকে ১৫ টি, পাচুন্দিতে ৮ থেকে ১০ টি এবং সেহেরায় ১০ থেকে ১১ টি করে বড়ো ট্রাকে ভিন্‌ রাজ্যের গোরু আসত।   


আগে খোলা বড়ো ট্রাকেই গোরু আনা হত আর এখন ৫০ থেকে ৬০ টি করে ছোটো মালবাহী গাড়িতে গোরু আনা হয়। বিহার বা উত্তরপ্রদেশের গোরু বড়ো ট্রাকে করে হাটে পৌঁছাত। সব সময় গোরুগুলিকে হাটে নামানো হত না। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে নাম থাকা এক জন ব্যক্তি বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও পূর্ব বর্ধমানে গোরু পাচার চক্রের মধ্যমণি হিসেবে কাজ করতেন।


কিন্তু এই পাচার চক্রে কারা যুক্ত, তাদের সাথে অনুব্রত মণ্ডলের যোগাযোগ আছে কি না এই বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। এদিকে গরুর পাশাপাশি কেতুগ্রাম, আউশগ্রাম এবং মঙ্গলকোটের বিভিন্ন বালি খাদানেও তাঁর কতোটা প্রভাব রয়েছে সেই বিষয়েও খোঁজখবর নেওয়া শুরু হয়েছে।

Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
May 2025
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031