চয়ন রায়ঃ এবার CBI কয়লা ও গরু পাচার কাণ্ডে তদন্তের জন্য বিনয় মিশ্র নামে এক ব্যবসায়ীর খোঁজে মরিয়া হয়ে উঠেছে। গত সেপ্টেম্বর মাস থেকেই তৃণমূলের যুব কংগ্রেসের সভাপতি বিনয় মিশ্র বেপাত্তা। CBI এর পক্ষ থেকে তাঁকে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাঁর নাগাল পাওয়া যায়নি।
তবে আজ সকাল থেকেই তাঁর দক্ষিণ কলকাতার চেতলা, রাসবিহারী অ্যাভিনিউ ও উত্তরে ভিআইপি রোডের কাছে লেক টাউনের বাড়িতে তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালান তারা। এর পাশাপাশি হুগলির কোন্ননগরেও অনুপ মাজি ঘনিষ্ঠ দুই ব্যবসায়ীর খোঁজে তল্লাশি চলে।
অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, গরু ও কয়লা পাচার কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত সতীশ কুমারকে জেরা করে বিনয় মিশ্রের নাম জানা যায়। কয়লা পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালা এবং গরু পাচারে অভিযুক্ত এনামুল হকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল বিনয় মিশ্রের। তার জেরে বিনয় মিশ্র নামে ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি করেছে CBI।
CBI সূত্রে খবর, ২০১৮ সাল থেকে এই বেআইনি কারবারে যুক্ত ছিল বিনয় মিশ্র। রাজ্যের প্রভাবশালীদের সাহায্য নিয়েই বেআইনি কয়লা ও গরু পাচার চালানো হত। উত্তর প্রদেশের এই বাসিন্দা বিনয় মিশ্রের বিরুদ্ধে কয়লা এবং গরু পাচার থেকে পাওয়া কালো টাকা সাদা করারও অভিযোগ আছে। এর জন্য চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট সংস্থার সাহায্যে হাজার হাজার ভুয়ো সংস্থা তৈরি করে কয়লা এবং গরু পাচারের টাকা পাচার করত বিনয়। তবে রাসবিহারীর প্রাসাদপম বাড়িই বিনয়ের বেআইনি ব্যবসার মূল ঘাঁটি ছিল। সেখান থেকে ল্যাপটপ সহ বেশ কিছু ইলেক্ট্রনিকস ডিভাইস পাওয়া যায়।
এছাড়াও কয়লা এবং গরু পাচারের টাকা রিসর্ট, পরিবহণ ব্যবসা ও মেডিক্যাল ব্যবসায় কাজে লাগানো হত। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দাবী বিনয়কে পেলেই কয়লা এবং গরু পাচার চক্রে জড়িত আরো প্রভাবশালীদের খোঁজ পাওয়া যাবে।
CBI তাঁর মোবাইলের টাওয়ার লোকেশনের সূত্র ধরে জানতে পেরেছে এখন সে ভিন রাজ্যে রয়েছে। তাই সেখানেও তাঁর খোঁজ চালানো হচ্ছে।