ব্যুরো নিউজঃ কানাডাঃ দলের অন্দরে চলা অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরে গতকাল কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো প্রধানমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন জোটের প্রধান দল লিবারল পার্টির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অফ কমন্সের দলনেতার পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ঘোষণা করেন। অতএব, ন’বছর ধরে প্রধানমন্ত্রীত্ব সামলানোর পরে অবশেষে পদত্যাগ করতে চলেছেন। অবশ্য, উত্তরসূরি নির্বাচন না হওয়া অবধি প্রধানমন্ত্রীর অফিস ছাড়বেন না বলে জানিয়েছেন। এমনকি আগামী মার্চ মাসের শেষ পর্যন্ত দেশের সংসদ মুলতুবিরও ঘোষণা করেছেন।
রাজনৈতিক মহলে শোনা যাচ্ছে, জাস্টিন ট্রুডোর লিবারেল পার্টির প্রভাবশালী নেতা তথা প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডর সাথে সংঘাতও ইস্তফার কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। আর এই মতবিরোধের কারণেই তিন সপ্তাহ আগে ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড ইস্তফা দিয়েছিলেন। এছাড়া সরকার বাঁচাতে খলিস্তানপন্থী নেতা জগমীত সিংহের দল নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সমর্থন নেওয়ার কারণেও দলের অন্দরে তাঁকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল। এমনকি জাস্টিন ট্রুডোর সময় নয়াদিল্লি-অটোয়া কূটনৈতিক সম্পর্কও তলানিতে ঠেকেছিল।
আপাতত জাস্টিন ট্রুডোর ইস্তফা ঘোষণার পর থেকেই লিবারল পার্টির সদস্যরা নতুন প্রধানমন্ত্রীর খোঁজে জোরকদমে ময়দানে নেমে পড়েছে। আর আপাতত ওই নতুন মুখের তালিকায় অনেকেই এগিয়ে। এমনকি একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূতও রয়েছেন। যিনি বর্তমানে কানাডার পরিবহন মন্ত্রী অনীতা আনন্দ। অনীতা আনন্দের মা পাঞ্জাবের এবং বাবা তামিলনাড়ুর। তিনি অক্সফোর্ড থেকে পড়াশোনা করেছেন। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে সর্বপ্রথম ওকভিলের সাংসদ রূপে নির্বাচিত হন।
২০১৯ সাল থেকে ২০২১ সাল অবধি কানাডার পাবলিক সার্ভিস ও প্রকিউরমেন্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বভার নিয়েছিলেন। এরপর সেই বছর থেকেই ২০২৩ সাল অবধি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকেরও দায়িত্বভার নিয়েছিলেন। তারপর রদবদলের জেরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক থেকে আন্তর্জাতিক ট্রেজারি বোর্ডের গুরুদায়িত্ব এবং পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বভারও গ্রহণ করেছিলেন। আপাতত নয়া প্রধানমন্ত্রীর মুখ হিসেবে দলের নজর অনীতা আনন্দের দিকেই।
তবে অনীতা আনন্দের পাশাপাশি, এই দৌড়ে কানাডার যে বড়োসড়ো রাজনৈতিকবিদদের নাম রয়েছে, তাঁরা হলেন বিদেশমন্ত্রী মেলানিয়া জোলি ও প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। এছাড়াও ব্যাঙ্ক অব কানাডার প্রাক্তন গভর্নর মার্ক কার্নিও রয়েছেন।