অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ বেসরকারী বাস মালিকরা পরিবহণ মন্ত্রীকে সিএনজি (কমপ্রেসড ন্যাচরাল গ্যাস) ইঞ্জিন লাগাতে বাস পিছু ভর্তুকির আবেদন করে চিঠি দিলেন। কেন্দ্রীয় সরকার পেট্রলে ৫ টাকা ও ডিজেলে ১০ টাকা শুল্ক কমালেও ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে বেসরকারী বাস মালিকরা জেরবার হয়ে পড়েছেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereএ হেন পরিস্থিতিতে দীর্ঘ দিন থেকেই বাস মালিকরা বাস ভাড়া বাড়ানো নিয়ে দাবী জানিয়ে আসছেন। তাই রাজ্য সরকার বিকল্প পথে ভাড়া কম রেখে বাস পরিষেবায় ডিজেলের পরিবর্তে সিএনজি ইঞ্জিন ব্যবহার শুরু করার বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereআগামী ১৭ ই নভেম্বর বেসরকারী বাস মালিকরা এই বিষয়ে পরিবহণ দপ্তরের সাথে আলোচনায় বসছেন। ইতিমধ্যে বেসরকারী বাস মালিকরা পরিবহণ দপ্তরের সাথে বেশ কয়েক দফায় আলোচনায় বসে সিএনজি ইঞ্জিন লাগানোর বিষয়ে ইঙ্গিত পেয়ে সিএনজি ইঞ্জিন লাগানোর উপর ভর্তুকির আবেদন করেছেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereপরিবহণ দপ্তরের তরফ থেকে বাস মালিকদের দু’টি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। প্রথমটি ডুয়েল ফুয়েল ইঞ্জিন এবং দ্বিতীয়টি ডেডিকেটেড সিএনজি ইঞ্জিন। ডুয়েল ফুয়েল ইঞ্জিনের ক্ষেত্রে বাস ডিজেল ও সিএনজি উভয় দিয়েই চালানো যাবে। আর ডেডিকেটেড সিএনজি ইঞ্জিন দিয়ে শুধুমাত্রই সিএনজি চালিত বাসই চালানো যাবে।
সিএনজি পদ্ধতিতে কম খরচে বেশী দূরত্বে বাস চালানো যায়। একেকটি বাসে সিএনজির ইঞ্জিন লাগাতে খরচ হবে ২ থেকে ৫ লক্ষ টাকা। এদিকে এই মহামারীর কারণে বেসরকারী বাসের মালিকদের আর্থিক অবস্থা বেহাল হওয়ায় বেসরকারী বাস মালিকরা রাজ্য সরকারের কাছ থেকে নতুন সিএনজি ইঞ্জিন লাগাতে ভর্তুকির আবেদন করেন।
সিটি সাবারবান বাস সার্ভিসের সম্পাদক বলেন, ‘‘আমরা মূলত ছয়টি দাবী জানিয়েছি। এর মধ্যে একটি দাবীতে সিএনজি ইঞ্জিন লাগাতে সরকারী ভর্তুকির কথা বলা হয়েছে। কারণ করোনা সংক্রমণের কারণে গত দেড় বছরের বেশী সময় বাস না চালানোয় আমাদের আর্থিক অবস্থা ভালো নেই। তাই আমরা সরকারের কাছে আবেদন করেছি। আশাকরি সরকার পক্ষ আমাদের আবেদনে সাড়া দেবে’’।