গঙ্গার ভাঙন ঠেকাতে পাড়ে পড়ছে ইট-বাঁশ

Share

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ হুগলীঃ গত কয়েক সপ্তাহে বৈদ্যবাটী পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের রাজবংশীপাড়া ঘাট সংলগ্ন এলাকায় নতুন করে জোয়ারের চাপে গঙ্গার পাড় ভাঙতে শুরু করে। আর বড়ো বড়ো গাছ তলিয়ে ঘর-বাড়ি কার্যত গঙ্গার কিনারে ঠেকেছে। কয়েকটি বাড়িতে ফাটলও দেখা দেয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ‘‘বেহিসাবী ভাবে গঙ্গা থেকে বালি তোলার কারণে প্রায় পাঁচ বছর ধরে ভাঙন চলছে। এদিকে এই এলাকায় প্রায় দু’শো জন মৎস্যজীবী পরিবারের বাস। তাই রাতেরবেলা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই নৌকো নিয়ে বেরোতে হচ্ছে। আশপাশের বহু মানুষ এই ঘাট ব্যবহার করেন। ফলে তাদেরও সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু সেচ দপ্তর বা কেএমডি কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না।’’


অন্যদিকে, সামনে ভরা কোটাল হওয়ায় পুরসভা রাজবংশীপাড়ায় গঙ্গার ভাঙন আটকাতে বাঁশ পুঁতে আধলা ইট ফেলার কাজ শুরু করলেন। তবে অস্থায়ী এই কাজে কতটা ফল পাওয়া যাবে, তা নিয়ে এলাকাবাসীরা যথেষ্ট উদ্বিগ্ন রয়েছেন। কিন্তু পুরসভা বা সেচ দপ্তরের কর্তারা মনে করছেন, অস্থায়ী ভাবে পাড় বাঁধিয়ে সাময়িক ভাবে ভাঙন আটকানো যাবে।


পুরপ্রধান পিন্টু মাহাতো এই কাজ সরেজমিনে দেখে জানান, ‘‘আপাতত যে কাজ হচ্ছে তাতে সাময়িক ভাবে ভাঙন আটকানো সম্ভব হবে। এই কাজে প্রায় ছ’লক্ষ টাকা ব্যয় হবে। পরে সরকারের তরফ থেকে পাকাপাকি কাজ করা হবে। আর স্থানীয় বিধায়ক অরিন্দম গুঁইনের সাথে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের কাছে ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থার আর্জি নিয়ে যাওয়া হবে।’’


জেলা সেচ দপ্তরের এক জন আধিকারিক বলেন, ‘‘পুরসভা যে কাজ করছে, তা কিছুটা হলেও ভাঙন রোধে সক্ষম হবে। ওখানে ভাঙন রোধে পাকাপাকি ব্যবস্থার জন্য বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট (ডিপিআর) তৈরীর কাজ চলছে। দ্রুত তা শেষ করে জেলাশাসকের কাছে রাজ্যের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে।’’

Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
May 2025
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031