গবেষকদের মতে, ভ্যাক্সিনের সব ডোজ নেওয়ার পরও নিতে হবে বুস্টার টিকা

Share

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নয়া দিল্লিঃ করোনার নতুন রূপ ওমিক্রনের সংক্রমণ পুরোপুরি আটকাতে গেলে ফাইজার, মডার্না ও জনসন অ্যান্ড জনসনের এমআরএনএ টিকার সবক’টি পর্বের পরেও একটি বুস্টার টিকা নিতে হবে। বুস্টার টিকা যে অ্যান্টিবডি তৈরী করছে সেগুলি ওমিক্রনের স্পাইক প্রোটিনকে বেঁধে ফেলতে বেশী সক্ষম হয়ে উঠছে।   

এই বুস্টার টিকাই ওমিক্রন আটকানোর জন্য দেহের প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তুলবে। আমেরিকার রেগন ইনস্টিটিউট অব এমজিএইচ, ম্যাসাচুসেট্‌স ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় এই গবেষণাটি যৌথ ভাবে চালিয়েছে। 


গবেষণার তরফে জানানো হয়েছে যে, ফাইজার, মডার্না ও জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা সবক’টি ডোজ দেওয়ার পরেও মানবদেহে সেই সংখ্যক অ্যান্টিবডি তৈরী করতে পারছে না যারা ওমিক্রনকে চিনে নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারে। তবে ওই টিকাগুলির সবক’টি ডোজের পরে বুস্টার টিকা নেওয়া হলে যে অ্যান্টিবডি তৈরী হচ্ছে তা ওমিক্রনকে চিনতে এবং নিষ্ক্রিয় করতে পারছে।  


গবেষকরা গবেষণাগারে প্রথমে ওমিক্রনের একটি অবিকল প্রতিরূপ তৈরী করেন। যা ‘সিউডোভাইরাস’ নামে পরিচিত। এটি আদৌ ক্ষতিকর না। এরপর এই সিউডোভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনেও ৩৪ টি মিউটেশন করা হয় যেমনটি ওমিক্রনের স্পাইক প্রোটিনে হয়েছে। এই মিউটেশনগুলির জন্যই ডেল্টা সহ করোনাভাইরাসের অন্যান্য রূপের চেয়ে ওমিক্রন বেশী সংক্রামক হয়ে উঠেছে বলে মনে করা হচ্ছে।


গবেষকরা ওই তিনটি টিকার সবক’টি ডোজই নিয়েছেন এমন ২৩৯ জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেন। এছাড়া এমন ৭০ জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেন যারা ফাইজার ও মডার্নার টিকার দু’টি ডোজের পর বুস্টার টিকাও নিয়েছেন।

তারপর গবেষণার পর জানা গিয়েছে যে, ওই টিকাগুলির সবক’টি ডোজ ডেল্টার বিরুদ্ধে যে পরিমাণে কার্যকরী অ্যান্টিবডি তৈরী করতে পারছে ওমিক্রনের ক্ষেত্রে তা করতে পারছে না। তাই ওমিক্রনের সংক্রমণ পুরোপুরি আটকাতে ওই টিকাগুলি পুরোপুরি নেওয়ার পরেও একটি বুস্টার টিকার প্রয়োজন।  

Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
August 2025
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031