তৃণমূল নেতার বাড়িতে গিয়ে বিষ পান করলেন বিজেপি কর্মীর স্ত্রী

Share

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ কোচবিহারঃ কোচবিহারের তুফানগঞ্জের দুই নম্বর ব্লকের রামপুর দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ করে বুথ সভাপতির বাড়িতে গিয়ে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন বিজেপি কর্মীর স্ত্রী।

অভিযোগ ওঠে, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে ভোট পরবর্তী হিংসার কারণে বিজেপি কর্মী রাখাল দাস বাড়ি ছেড়ে প্রতিবেশী রাজ্য আসামে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সম্প্রতি বাড়ি ফিরলে আবার বাড়িতে এসে হামলা চালানো হয়। রাস্তায় বেরোলেও মারধর করা হয়। নিজের জমিতেও চাষ করতে দেওয়া হয়নি। 
এমনকি গতকাল রাখালবাবুর বাড়িতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। স্ত্রী রুপা দাসের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করায় সেই অপমান মেনে নিতে না পেরে রূপা দেবী বাজারে গিয়ে কীটনাশক কিনে তৃণমূলের স্থানীয় বুথ সভাপতির বাড়িতে গিয়ে বুথ সভাপতির সামনেই কীটনাশক খেয়ে ফেলেন। এরপর রাতেরবেলা তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তুফানগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রাতেরবেলাই রূপা দেবীকে দেখতে তুফানগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক মালতি রাভা রায় হাসপাতালে গিয়ে জানান, ‘‘বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। গত বিধানসভা নির্বাচনের পর তৃণমূলের সন্ত্রাসের কারণে রাখাল বাড়ি ছেড়ে আসামে গিয়ে আশ্রয় নেন। নিজের চাষের জমিতে চাষ করতে দেওয়া হয়নি।


দীর্ঘ দিন রাখালের স্ত্রী একটা ছোট্ট বাচ্চা নিয়ে একা সংসার চালাচ্ছেন। তৃণমূলের এই সন্ত্রাস এই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ওই বিজেপি কর্মী স্ত্রী আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। আর এই নিয়ে পুলিশকে তিন বার অভিযোগ জানানোর পরেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ঘুরিয়ে বিজেপি কর্মীদেরই দোষী সাব্যস্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’’


কিন্তু ব্লক সহ সভাপতি নিরঞ্জন সরকার এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘রাখাল ভোট পরবর্তী হিংসার কারণে বাড়ি ছাড়া হননি। তিনি বহু মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে সেই টাকা শোধ করতে না পেরে আসামে গিয়ে লুকিয়ে ছিলেন। আর গতকাল প্রতিবেশীদের সাথে ব্যক্তিগত ঝামেলার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে।


রাখালের স্ত্রী তৃণমূলকে বদনাম করার জন্য আমাদের দলের বুথ সভাপতির বাড়িতে গিয়ে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।’’

Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
July 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031