বিজেপি কর্মীর মৃত্যু ঘিরে এলাকায় রাজনৈতিক চাপানউতোর
দ্বিজেন্দ্রপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ঃ বীরভূমঃ বীরভূমের খয়রাশোল ব্লকের বিজেপির A মন্ডলের বুথ সহ সভাপতি মিঠুন বাগদির মৃত্যু ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর বীরভূমে।
জানা গেছে, কয়েক মাস আগে ২৭ বছর বয়সী রাজু বাগদির বীরভূমের খয়রাশোল ব্লকের কাঁকড়তলা থানার অন্তর্গত নবসন গ্রামে রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। সম্প্রতি এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজুর পরিবারের লোকজন মৃত মিঠু্নের নামে খুনের অভিযোগ করেছিলেন। পুলিশ এই অভিযোগ পেয়ে মিঠুনকে গ্রেপ্তার করলেও তিন মাস পর পরে জামিন পেয়ে বাড়ি ফেরেন।
এই পরিস্থিতিতে রাজুর পরিবারের বেশ কিছু লোকজন উত্তেজিত হয়ে মিঠুনকে পাকড়াও করে বেধড়ক মারধর করেন। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ রক্তাক্ত অবস্থায় মিঠুনকে উদ্ধার করে নাকরাকোন্দা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে চিকিৎসকেরা দেখে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহার অভিযোগ, “আমাদের এই বিজেপি নেতাকে পরিকল্পিতভাবে কিছু লোক আক্রমণ করে পিটিয়ে খুন করেছে। গতকাল যখন মিঠুন থানা থেকে মোটরবাইক আনতে যান ঠিক সেই সময় এই আক্রমণ করা হয়। যারা এই ঘটনার সাথে যুক্ত তারা প্রত্যেকেই তৃণমূল কর্মী-সমর্থক”।
তবে এই মৃত্যুর ঘটনায় রাজনীতিকে টানার জন্য তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় ধ্রুব সাহার বক্তব্যকে চরম নিন্দা করে বলেছেন, “ঘটনাটা জলের মত পরিষ্কার। এটা সম্পূর্ণ পারিবারিক বদলা নেওয়ার ঘটনা। সব কিছুতেই তৃণমূল-বিজেপি সম্পর্ক টেনে আনা মোটেই ঠিক নয়। আসলে এখন ওরা সব জায়গাতেই তৃণমূলের ভূত দেখছে। আমি অনুরোধ করবো যে ধ্রুব সাহা একজন দায়িত্বশীল পদে রয়েছেন। তাই কোনো কিছু মন্তব্য করার আগে অন্ততপক্ষে ঘটনাস্থলে এসে বা ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে তারপরেই মন্তব্য করা হোক। তা না হলে এই ভুল মন্তব্যের দরুন পরিস্থিতি আরো ভয়ানক হতে পারে”।
পুলিশ এই ঘটনার পর অভিযোগ পেয়ে ইতিমধ্যেই মোট পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতদের মধ্যে একজন পুরুষ ও চার জন মহিলা রয়েছেন। যারা প্রত্যেকেই রাজুর পরিবারের সদস্য। ধৃতদের দুবরাজপুর আদালতে তোলা হয়। পাশাপাশি কাঁকরতলা থানার ওসি জাহিদুল ইসলাম নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে।
দুবরাজপুর আদালতের সরকারী আইনজীবী রাজেন্দ্র প্রসাদ দে জানিয়েছেন, “অনিল বাগদীকে পাঁচ দিনের পুলিশী হেফাজত এবং বাকি চার জন মহিলাকে চোদ্দ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন দুবরাজপুর আদালতের বিচারক।