বিজেপির প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পরেই জেলা জুড়ে সাংবাদিক সম্মেলন
স্নেহাশীষ মুখার্জিঃ নদীয়াঃ নদীয়া জেলার উত্তরের বিজেপি প্রার্থী মুকুল রায় বৃহস্পতিবার কৃষ্ণনগর জেলা পার্টি অফিসে এসে এক সাংবাদিক বৈঠকে জানান, “যখন আমি জগদ্দল থেকে ভোটে দাঁড়িয়ে ছিলাম তখন বাংলায় ভোটের পরিস্থিতি ছিল না। কিন্তু আজকের তফাৎ হচ্ছে মানুষ নির্বিঘ্নে নিশ্চিন্তে ভোটটা দেবে। বাংলায় গণতন্ত্র যে ছিল না আজকে মানুষ স্বীকার করছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আজকে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হচ্ছে। আমাকে পার্টি বলেছে বিধায়কের পদে দাঁড়াতে আমি দাঁড়িয়েছি। আমি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, এমপি বা এমএলএ সবেতেই সাবলীল। আমার কোনোরকম অসুবিধা নেই। দল যা চাইবে তাই করতে হবে এটাই শেষ কথা”।
এছাড়া তিনি এও বলেন, “আমি জেতার ব্যাপারে ১০০% নিশ্চিত যে আমিই জিতব। শুধু নদীয়া নয় আমি পশ্চিমবাংলার সব জায়গা চিনি। স্বাভাবিকভাবে দল যা নির্দেশ দেবে আমাকে সেই দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমি কৃষ্ণনগরের সার্বিক উন্নয়ন চাই। আর আমি এই সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্য রেখেই এখানে এসেছি”।
অন্যদিকে শান্তিপুরের প্রার্থী এবারের রানাঘাট লোকসভার বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার।তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, “দলের সিদ্ধান্ত সাংসদ থেকে বিধায়ক। নিশ্চয়ই তার কোনো উদ্দেশ্য থাকে। না হলে কেউ সাংসদ থেকে বিধায়ক হয় না এটাই স্বাভাবিক”।
রানাঘাট উত্তর পশ্চিমের বিজেপি প্রার্থী পার্থসারথি চ্যাটার্জী। তিনি সাংবাদিকদের জানিয়ে দিয়েছেন, “বিজেপি একটা সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল। আমি সেই রাজনৈতিক দলের মনোনীত একজন প্রার্থী। খুব স্বাভাবিক কারণেই আমি এর জন্য গর্বিত। আর আমি যে উদ্দেশ্যে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছি মানুষকে পরিষেবা দেবার জন্য, সেক্ষেত্রে আমার বিশ্বাস আমি এই দলে এসে নিশ্চিতভাবে মানুষকে সঠিক পরিষেবা দিতে পারব”।