নিজস্ব সংবাদদাতাঃ হুগলীঃ বিজেপির জেলাশাসকের দপ্তর ঘেরাও অভিযানের দিন পুলিশকে লক্ষ্য করে জুতো ছুঁড়ে মারার অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক পম্পা অধিকারীর বিরুদ্ধে। আজ ওই ঘটনায় অভিযুক্ত পম্পা অধিকারীকে হুগলীর চুঁচুড়া মহিলা থানার পুলিশ তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে। আর এদিন চুঁচুড়া আদালতে হাজির করানো হয়। এদিকে জেলার বিজেপি নেতৃত্ব এই গ্রেফতারীর বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারী দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২ রা সেপ্টেম্বর বিজেপি জেলায় জেলায় জেলাশাসকের দপ্তর ঘেরাও অভিযানের ডাক দিয়েছিল। হুগলীতেও জেলাশাসকের দপ্তর ঘেরাও করতে হুগলী ও শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি নেতৃত্ব যৌথ ভাবে পথে নেমেছিল। দলের নেতা-কর্মীরা মিছিল করে ঘড়ির মোড় অবধি পৌঁছালে সেখানেই পুলিশ তাদের আটকে দেয়। এরপর পুলিশের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের ধস্তাধস্তি হয়। ব্যারিকেড করে তাদের আটকানোও হয়েছিল। তখনই পুলিশী বাধার সম্মুখীন হয়ে পম্পা অধিকারী নিজের পা থেকে জুতো খুলে জুতো উঁচিয়ে পুলিশকে দেখাতে থাকেন। পরে পুলিশকর্মীদের লক্ষ্য করে জুতো ছুঁড়ে মারেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
এই গোটা ঘটনাটি সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় ধরা পড়ে। পম্পা অধিকারী এই প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘‘পুলিশ আমাদের মহিলা কর্মীদের গালিগালাজ করছিল। তাদের ফেলে লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়েছে। আমি একজন মহিলা হয়ে এই দৃশ্য দেখতে পারিনি। ওদের মুখে জুতো মারা উচিত ছিল। তা না করে আমি জুতোটা ছুঁড়ে মেরেছি। আমি সামনে থাকলে পুলিশ অফিসারের মুখে ওই জুতো মারতাম।’’
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
হুগলী সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি তুষার মজুমদার এই প্রসঙ্গে জানান, ‘‘সেদিন অনেকেই বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন। তাহলে পম্পাকে গ্রেফতার করা হয়েছে কেন? আমাদের প্রতিবাদ শান্তিপূর্ণ ভাবেই চলছিল। অন্যায় ভাবে পম্পাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা আইনী লড়াই লড়ব।’’ এদিকে, পুলিশ জানিয়েছে, ‘‘পুলিশের কাজে বাধাদান, বেআইনী জমায়েত, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে জড়ো হওয়া সহ ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় পম্পা অধিকারীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।’’
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি অরিন্দম গুঁইন এই বিষয়ে বলেন, ‘‘যারা আন্দোলন করছেন, তারা বিচার চেয়ে আন্দোলন করছেন। বিজেপি সাধারণ মানুষের সেই আবেগ নিয়ে খেলা করছে। ওরা বুঝে গিয়েছে, বাংলায় ওদের কিছু নেই। তাই এই আন্দোলনটাকে ক্যাশ করতে চাইছে। নোংরা রাজনীতি করছে। আমরা রাজনীতি চাই না, আমরা চাই দোষীর শাস্তি।’’